কলকাতা: সৌরভ গাঙ্গুলি বরাবর খবরে থাকেন। যখন খেলতেন তখন। এমনকি ক্রিকেট প্রশাসক হিসাবেও। বছরের শেষ সপ্তাহে সৌরভ আবার হেড-লাইনে। বিষয়টি রাজনীতির। জল্পনা বছর খানেক চলছে। তিনি নাকি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী। যতবার সেকথা শুনেছেন, ততবার তা লং-অনের উপর দিয়ে বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়েছেন সৌরভ। সম্প্রতি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেও একই প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছিলেন। বল আবার বাউন্ডারির বাইরে গিয়েছে।
সৌরভের রাজনীতিতে যোগদানের প্রসঙ্গে বিভিন্ন জল্পনায় বঙ্গ বিজেপির প্রচ্ছন্নে উপকার হয়েছে। বাঙালি জনজাতির কাছে সৌরভ গাঙ্গুলির ‘ইমেজ’ গগনচুম্বী। আধুনিক জীবনে অমর্ত্য সেন, অভিজিৎ বিনায়ক ব্যানার্জির মত দুই নোবেলজয়ীকে বাদ দিলে সৌরভের মত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাঙালি আর ক’জন। তার উপর কলকাতার বুকে বেড়ে ওঠা সৌরভের ‘ঘরের ছেলে’ ইমেজ রাজনীতিতেও কার্যকরী। সেক্ষেত্রে, ভোটের মুখে সৌরভের বিজেপিতে যোগদানের জল্পনায় কিছুটা লাভবান গেরুয়া শিবির।
সৌরভ গাঙ্গুলি হয়ত না চাইলেও তাকে নিয়ে চলতি জল্পনায় কিছুটা লাভবান বিজেপি। সৌরভ বিসিসিআই সভাপতি। সেখানে সেক্রেটারি হলেন জয় শাহ। জয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র পুত্র। সৌরভের সঙ্গে জয়ের মধুর সম্পর্ক। তা নিয়ে বিজেপি বিরোধীরা নানা আলোচনাও করেছেন। প্রমাণ নেই, তবে শোনা যায় সৌরভ বিসিসিআই সভাপতি হয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী’র হস্তক্ষেপে। এই সব জল্পনা কোথাও না কোথাও সৌরভের অলক্ষ্যে তাকে বিজেপির প্রচারের বিষয়বস্তু করে তুলেছে। সৌরভ তা লক্ষ্য করেছেন কিনা জানা নেই।
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী কে হতে পারেন তা নিয়ে ‘ভাইরাল’ চর্চায় কেন কেন্দ্রীয় পার্টি বিরক্ত তা বুঝে নেওয়া যাক। রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি এবং ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় আবার বঙ্গ রাজনীতিতে ফিরে এসেছেন। তিনিও মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী হতে পারেন বলে জোর আলোচনা। অন্যদিকে, অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও পিছিয়ে নেই। বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি এবং রামকৃষ্ণ মিশনের সক সাধুর নাম উঠে আসছে। কিন্তু, এই স্পর্শকাতর বিষয়টি নিয়ে জল্পনা চলুক – তাই চায় বিজেপি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই বলেছেন , সময় হলেই জানা যাবে।