বোলপুর: পঞ্চায়েতে টিকিট না পেয়ে দলের অন্দরে শুরু হয়েছে কোন্দল৷ টিকিট না পেয়ে অনেকেই নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছেন৷ এই বিষয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কড়া নির্দেশ ছিল, যে বা যাঁরা নির্দল প্রার্থী হিসেবে পঞ্চায়েত ভোটে লড়বেন বা সেই সব প্রার্থীদের সমর্থনে কাজ করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে৷ কিন্তু দেখা গেল সেই সতর্ক বার্তায় সম্পূর্ণ কাজ হয়নি৷ দলের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে অনেকেই এখন নির্দল বা নির্দলেরসমর্থক৷ সেই অভিযোগেই শুক্রবার আরও ১৪ জন কর্মীকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করলেন তৃণমূলের জেলা কোর কমিটি।
গত রবিবারই একই কারণে এক সঙ্গে ৩০ জন কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। এবার বরখাস্ত করা হল আরও ১৪ জনকে৷ পঞ্চায়েত ভোটের আগে এক সঙ্গে এত জন কর্মীকে সাসপেন্ড করায় ভোটে বেশ কিছু জায়গায় তার প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ এ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরাও। তবে সে সবে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব।
দল যে প্রার্থীকে বেছে নিয়েছে তাঁকে কেউ মেনে না নিলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের বার্তা আগেই দিয়েছিলেন তৃণমূরলে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেও দেখা যায়, গ্রাম বাংলার বহু আসনেই ‘গোঁজ’ প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছেন টিকিট না পাওয়া তৃণমূলের বিক্ষুব্ধরা। শুক্রবার সকালে বীরভূমের বোলপুরে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে এ রকম আরও ১৪ জন ‘বিক্ষুব্ধ’কে সাসপেন্ড করার কথা জানিয়ে দিলেন জেলা কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী ও লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ। জানা গিয়েছে, এদিন যাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁরা সকলে রাজনগর, খয়রাশোল, দুবরাজপুর, সিউড়ি-১, রামপুরহাট-১ এবং নলহাটি-২ ব্লকের কর্মী।