কলকাতা: স্কুলশিক্ষকদের জন্য সুখবর। শিক্ষকদের সমস্ত বকেয়া অর্থ মিটিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন৷ সেই মতো ডিআইদের নির্দেশ দিল স্কুলশিক্ষা দফতর। বৃহস্পতিবারই বিকাশ ভবনের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকী, বকেয়া নিয়ে কোনও মামলা থাকলে দ্রুত তার নিষ্পত্তি করার নির্দেশও দিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর৷
মনে করা হচ্ছে, শিক্ষকদের সঙ্গে বকেয়া ইস্যুতে আর মামলা চালাতে চাইছে না শিক্ষা দফতর। বিকাশ ভবনের এই সিদ্ধান্তে প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষক উপকৃত হতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। গড়ে প্রায় ১০-১৫ হাজার টাকা বকেয়া হলে, সরকারের মোট আর্থিক দায়ভার দাঁড়াচ্ছে ৭০ কোটি টাকা থেকে ১০৫ কোটি টাকায়।
এদিনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তিন বছরের কম সময়ের বকেয়া অর্থ সরাসরি ডিআইরা শিক্ষকদের হাতে তুলে দেবেন। তার চেয়েও পুরনো যে বকেয়াগুলি রয়েছে, সেগুলি বিকাশ ভবনে পাঠাতে হবে। বিকাশ ভবন থেকেই সেই টাকা মেটানো হবে। কিন্তু কেন এই বকেয়া? অনেক সময়ই শিক্ষকরা নিয়োগ পাওয়ার পরও চাকরির অ্যাপ্রুভাল পেতে দেরি হয়ে যায়। আর যতক্ষণ না অ্যাপ্রুভাল পাচ্ছেন, ততক্ষণ বেতনও পান না। সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরই শিক্ষকদের বেতন চালু হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শুরুর দিকে যে ক’মাসের বেতন তাঁরা পান না, সেটাই এরিয়ার বা বকেয়া হয়ে যায়। সরকারি পরিভাষায় এটি হল ‘লেট অ্যাপ্রুভাল এরিয়ার’৷ বিভিন্ন কারণে সেই বকেয়া পেতে বছরের পর বছর সময় লেগে যায়৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>