দিল্লি: সারা বিশ্বে করোনার আতঙ্ক। মৃত্যু হয়েছে হাজার হাজার মানুষের। ভারতেও মৃতের সংখ্যা ২। এই পরিস্থিতিতেও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) ও জাতীয় জনগণনা পঞ্জির (এনপিআর) বিরোধিতা থামেনি শাহীনবাগে। তবে যেভাবে ক্রমশই বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণের ভয়। এই অবস্থায় ১৪ মার্চ সাংবাদিক বৈঠকে বসতে চলেছেন শাহীনবাগের বিক্ষোভকাররা। তবে এদিনের বৈঠকে শুধুমাত্র সিএএ বা এনপিআর নয়, আলোচনার বিষয়ের মধ্যে থাকবে কোভিড ১৯-ও, এমনই জানা গেছে সংবাদসূত্রে। তবে করোনা নিয়ে তাঁদের যতটা মাথাব্যথা, তার চেয়ে বেশি চিন্তা সিএএ ও এনপিআর নিয়ে।
সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ হওয়ার পর থেকেই কেন্দ্রের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ। দিল্লির শাহীনবাগে গত বছরের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকেই আন্দোলনে বসেছিলেন মহিলারা। গোটা দেশ জুড়ে করোনা আতঙ্ক দেখা গেলেও তাঁরা তাঁদের দাবিতে অনড়। অবশেষে করোনা ভাইরাসের বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁরা। তাই শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে একদিকে যেমন দিল্লির হিংসাত্মক ঘটনা উল্লেখ করা হবে, ঠিক তেমনই উঠবে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে দু-চার কথা। তবে সূত্রের খবর, করোনা ভাইরাসের জেরে আন্দোলনকারীদের সকলের নমুনা পরীক্ষা ছাড়াও মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করার কথা বলেছেন আন্দোলনকারীরা। এমনকী, ভাইরাস স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। তবে সিএএ ও এনপিআর-এর বিরোধিতায় অনড় তাঁরা। তাঁদের কথায়, করোনা ভাইরাসের চেয়েও বড় চিন্তার বিষয় হল সিএএ ও এনপিআর।
করোনা সংক্রমণে আতঙ্কে রয়েছে ভারতও। শাহীনবাগের আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ স্থগিত রাখারও অনুরোধ করেছিলেন কেউ কেউ। তবে বিক্ষোভকারীরা তাঁদের সিদ্ধান্তে অনড়। এদিকে এই পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের জেরে ভারতে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। কর্নাটকের কালবুর্গির ৭৬ এক ব্যক্তি এবং শুক্রবার রাতে দিল্লির এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। স্বাথ্যমন্ত্রকের সূত্রে জানা গেছে, এই দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা অন্তত ৮০। এই পরিস্থিতিতে শাহীনবাগের আন্দোলনকারীদের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ।