‘বহিরাগত থেকে সাবধান, থানায় ডাকলে কেউ যাবেন না, ছক কষছে গদ্দাররা’, হুঁশিয়ারি মমতার

‘বহিরাগত থেকে সাবধান, থানায় ডাকলে কেউ যাবেন না, ছক কষছে গদ্দাররা’, হুঁশিয়ারি মমতার

বহরমপুর: কোভিড পরিস্থিতিতে দিশেহারা রাজ্য তথা গোটা দেশ৷  রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রকেই দুষেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বহরমপুরের রবীন্দ্র সদন অডিটোরিয়ামে রবিবাসরীয় ভর্চুয়াল সভা থেকে আরও একবার নিশানা করলেন নরেন্দ্র মোদীকে৷ পাশাপাশি বহিরাগত থেকে সাবধান হওয়ার বার্তা দিলেন তিনি৷ তবে এখানেই শেষ নয়৷ এদিন পুলিশকেও নিশানা করেন তৃণমূল নেত্রী৷ বলেন, থানায় ডাকলে কেউ যাবেন না৷ 

আরও পড়ুন- পুলিশ মস্তিষ্কের ব্যবহার ভুলে গিয়েছে! ‘বেচারা’ পুলিশকে হুঙ্কার মমতার

মমতা বলেন, ইচ্ছাকৃত ভাবে রাজ্যে আট দফা ভোট করানো হয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রী ভেবেছেন রাজ্যকে কোভিডে ডুবিয়ে ভোটে জিতবেন৷ তাই অজানা-অচেনা যাঁরা বাইরে থেকে এসেছেন, তাঁদের থেকে সাবধান৷ কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়িতে গেলে বলবেন দূর থেকে কথা বলো৷ কারণ তাঁদের মধ্যে কার কার কোভিড আছে, আমরা তা জানি না৷ তাঁদের সরাসরি বলবেন, আমরা বাড়িতে বহিরাগতদের আসার অনুমতি দিচ্ছি না৷ গ্রামে গিয়ে ভয় দেখাতে এলে বলবেন, আপনারা আগে বাড়ি গিয়ে কোভিডের চিকিৎসা করান৷ মা-বোনেদের একত্রিত হয়ে তাঁদের বাধা দিতে হবে৷ 

তাঁর কথায়, প্ল্যান করে তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের নামের তালিকা তৈরি করে রেখেছে বিজেপি৷ তাঁদের গ্রেফতার করে থানায় বসিয়ে রাখায় চক্রান্ত করেছে৷ তবে গ্রেফতার দেখানো হবে না৷ এটা হল বেআইনি ভাবে আটক করা৷ তাই কেউ থানায় যাবেন না৷ হুঁশিয়ার করেন দলনেত্রী৷

তিনি আরও বলেন, ‘‘বিজেপি যাই করুক না কেন, কোনও কথা বলা হচ্ছে না৷ কিন্তু তৃণমূলদের বলা হচ্ছে গুণ্ডা৷ আর বিজেপি’র গুণ্ডারা ওদের সম্পদ৷ আমাদের দলে যে সকল গদ্দাররা ছিল তাঁরা বসে বসে বিজেপি’র হয়ে ছক কষছে৷ কোন অঞ্চল থেকে কাকে গ্রেফতার করতে হবে, সে কথা বলা হচ্ছে৷ মমতার সাফ নির্দেশ, কেউ থানায় যাবেন না, ভয় পাবেন না৷ নিজেদের কাজ করুন৷ কোনও দাঙ্গায় যাবেন না, প্রোরোচনায় পা দেবেন না৷ বিজেপি’র অনেক ছক রয়েছে৷ ওদের এক চোখ দিয়ে দাঙ্গা আর অন্য চোখ দিয়ে মিচকি হাসি বেরয়৷’’ 

আরও পড়ুন- অক্সিজেন নেই, এদিকে মোদী মন কা বাত করেছেন! জোর সমালোচনায় মমতা

মমতা বলেন, নন্দীগ্রাম আমার চোখ খুলে দিয়েছে৷ ভূমি আন্দোলনের নেতা আবদুল সামাদের গাড়ির চালককে পুলিশ ভোটের দিন থানায় বসিয়ে রেখেছিল৷ যাতে উনি বেরতে না পারেন৷ পুলিশ দিয়ে এমন কাজ করছে নির্বাচন কমিশন৷ কেন এত পক্ষপাতদুষ্ট কমিশন? প্রশ্ন ছুড়ে দেন মমতা৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *