বিডেন-হ্যারিসের জয়ে উচ্ছ্বাস প্রবাসী বাঙালী মহল, কিন্তু কেন জানেন?

বিডেন-হ্যারিসের জয়ে উচ্ছ্বাস প্রবাসী বাঙালী মহল, কিন্তু কেন জানেন?

 কলকাতা: ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে মার্কিন মসনদে বসেছেন জো বিডেন৷ সেই সঙ্গে আমেরিকার ইতিহাসে এই প্রথম হোয়াইট হাউজে পা রেখেছেন ভারতীয় মায়ের কৃষ্ণাঙ্গ মেয়ে৷ তাঁদের এই জয়ে উচ্ছ্বসিত প্রবাসী বাঙালীরা৷ ডেমোক্র্যাটদের এই জয় উদযাপনে শনিবার বসেছিল তাঁদের মসলিস৷

অলনে, মেরিল্যান্ডের ভট্টাচার্য’রা, ফ্লোরিডার ট্যাম্পায় বসু’রা, ভার্জিনিয়ায় সেন’রা, হিউস্টনের চক্রবর্তী’রা এবং মার্কিন মুলুকে ছড়িয়ে থাকা বহু বাঙালি একসঙ্গে মিলেমিশে কাটালেন শনিবারের সন্ধ্যা৷ হাসি-মশরা আর গানে গানে কাটালেন তাঁদের জয়ের সন্ধ্যে৷ অন্যদিকে, হাজার হাজার মার্কিন নাগরিক এই সন্ধ্যা পালন করলেন পথে নেমে৷ ক্ষমতায় আসার পর ভারতের প্রতি সৌহার্দের বার্তাই দিয়েছেন জো বিডেন৷ তাঁর আত্মীয়রা রয়েছেন এদেশে৷ অন্যদিকে, কমলা হ্যারিসের মা একজন ভারতীয়৷ ফলে তাঁদের সফল্যে হইহই রব প্রবাসী ভারতীয়দের মনে৷

লক্ষ লক্ষ মার্কিন নাগরিকের মতো ডেমোক্র্যাটদের ভোট দিয়েছিলেন নন্দিনী ভট্টাচার্যও৷ ফল প্রকাশের পর রীতিমতো উচ্ছ্বসিত তিনি৷ নন্দিনী এফডিএ-তে কর্মরত৷ গত ৩ নভেম্বর ভোট গণনা শুরু হওয়ার পর থেকেই যেন বাড়ছিল আমেরিকাবাসীর রক্তচাপ৷ কে জিতবেন? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে দু’চোখের পাতা এক করতে পারেননি অনেকেই৷ তবে ফলের অপেক্ষায় ঘুম বিসর্জন দেননি নন্দিনী৷ তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত ছিলাম জো বিডেনই জয়ী হবেন৷’’ তাঁর কথায়, ‘‘অবেশেষে দুঃস্বপ্ন কাটল৷ আমরা খুবই আনন্দিত৷ আমেরিকাকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ট্রাম্পের পরাজয়ের প্রয়োজন ছিল৷ প্রথমত করোনা অতিমারী নিয়ন্ত্রণ এবং তারপর বাকি বিশ্বের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্কের উন্নতির স্বার্থে এই পরিবর্তনের প্রয়োজন ছিল৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এফডিএ-র বিজ্ঞানীদের হতাশায় ডুবিয়ে রেখেছিলেন ট্রাম্প৷ করোনা ভাইরাস টাস্ক ফোর্সের প্রধান অ্যান্টনি ফৌসির উপর তিনি যে ভাবে আক্রমণ করেছিলেন, তা নৃশংস ও চূড়ান্ত অপমানজনক ছিল৷’’

আবার শিক্ষাবিদ অম্বর বসু নেচে উঠেছিলেন বিডেনের জয়ে৷ হাজার হাজার মানুষ সেদিন পথে নেমে আনন্দে নেচে উঠেছিল৷ সেই ছবি টিভিতে দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি অম্বরবাবুর মেয়ে কোহনা৷ ঘরে বসেই তাঁদের সঙ্গে পা মিলিয়েছিলেন তিনি৷ আর মেয়ের সঙ্গে নেচে উঠেছিলেন অম্বরবাবুও৷ ফ্লোরিডার মানুষ ট্রাম্পের পক্ষে ভোট দিলেও, এখানকার বাঙালীদের ভোট গিয়েছিল তাঁর বিপক্ষেই৷ অম্বরবাবু বলেন, এটা রিপাবলিকান বা ডেমোক্রাটদের সমর্থনের বিষয় ছিল না৷ ছিল ট্রাম্পকে প্রত্যাখ্যানের প্রশ্ন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen + 2 =