কলকাতা: করোনা অতিমারীর মেঘ কেটে গেলেও সতর্কতা বিধি শিথিল করার প্রশ্নই ওঠে না, চিকিৎসক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য দফতর, সকলের মুখেই শোনা গেছে এক বুলি। অতিমারী পরবর্তীকালে দেশ জুড়ে ফিরছে পুরোনো ছন্দ, কিন্তু সেই সঙ্গে একই সারিতে থাকছে কোভিড সতর্কতাও। সুরক্ষা বিধির সেই ছায়াই এবার দেখা গেল বাংলার বিধানসভা নির্বাচনেও।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা এবার মনোনয়ন পত্র জমা দেবেন অনলাইনেই, এমনটাই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। মনোনয়ন পত্র জমার সময় যাতে ভিড় না হয়, সে কারণেই বাড়তি সতর্কতা স্বরূপ এই পন্থা নেওয়া হয়েছে। তবে মনোনয়ন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার জন্য অন্তত একবার হলেও সশরীরে উপস্থিত হতে হবে প্রার্থীদের, এদিন তাও স্পষ্ট করেছে কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থীরা অনলাইনে মনোনয়ন পত্র জমা দিলেও তারপরের সাত দিনের মধ্যে সশরীরে এসে রিটার্নিং অফিসারের কাছে তাঁদের সমস্ত জরুরি কাগজপত্রের অরিজিনাল কপি ও শংসাপত্র জমা দিতে হবে। তবে সেক্ষেত্রেও যাতে ভিড় না হয়, তার ব্যবস্থা করবে কমিশন। প্রত্যেক প্রার্থীর জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে আলাদা সময়। প্রার্থী সঙ্গে কতজনকে নিয়ে আসতে পারবেন জানিয়ে দেওয়া হবে তাও। সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরেই প্রার্থীর মনোনয়ন নির্দিষ্ট হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে আর হয়তো দেড় মাসও বাকি নেই। ফলে কমিশনের দফতরেও ভোট প্রস্তুতির কাজ চলছে জোর কদমে। যাতে ভোট চলাকালীন কোনোরকম দুর্নীতি বা কারচুপি না হয়, তা নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ কমিশন। ইতিমধ্যে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর থেকে বদলি করা হয়েছে ৩ সিনিয়র অফিসারকে। ৭২ ঘন্টা অতিক্রান্ত হলেও এখনও পর্যন্ত তাঁদের জায়গায় নতুন কাউকে নিয়োগ করা হয়নি বলেই জানা গেছে সূত্রের খবরে। যদিও এর আগে নির্বাচনের আগে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে কম আশান্তি হয়নি৷ এবার অনলাইনে সেই প্রক্রিয়া হওয়ায় অশান্তি কি কমবে? অপক্ষেয় সাধারণ জনতা৷