কলকাতা: করোনা পরিস্থিতি রুখতে রাজ্যের জেলা ও পঞ্চায়েত সমিতির উদ্দেশ্যে ভিডিও কনফারেন্সে বিশেষ বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা মোকাবিলার পাশাপাশি গ্রামবাংলার জাগরণের দিকেও নজর দিতে হবে বলে জানালেন তিনি। এদিন নিয়ম মেনে রাজ্য জুড়ে কাজ চালু করার নির্দেশ দেন তিনি।
বুধবার পঞ্চায়েত সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিও কনফারেন্স করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন থেকে এদিন তিনি বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংকল্প করেন। তিনি বলেন, 'করোনাও থাকবে। তার মধ্যে গ্রামবাংলার জাগরণও করতে হবে। মনে রাখবেন, গ্রাম বাংলার জাগরণ না করলে ভবিষ্যতে বাংলার অর্থনীতি বাঁচবে না। সারা ভারতবর্ষে কোথায় কী হচ্ছে, আমাদের দেখার দরকার নেই। করোনাকেও মোকাবিলা করব। মানুষের পাশেও থাকব।'
দোকানপাট যেগুলি খোলা হয়েছে, সেখানে ভিড় করতে বারণ করেন তিনি। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কম যাত্রী নিয়ে বাসও চালাবে সরকার। তিনি বলেন, 'মাথায় রাখবেন, বেশি জমায়েত করবেন না। যেসব দোকানপাট খোলা হচ্ছে বা যেসব দোকান খোলা হবে, কিংবা অর্ধ্বেক যাত্রী নিয়ে আমরা বাস চালাব। সরকার ভর্তুকি দেবে। কিন্তু বেসরকারি বাসের ক্ষেত্রে যদি বলি, ২০ জন যাত্রী নিয়ে বাস চালান, তারা শুনবে না। ওরা কীভাবে ব্যবসা সামলাবে ওদের ব্যাপার।' মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহারের কথাও শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে। মৎস দফতর, জল ধরো জল ভরো প্রকল্প, বাংলার আবাস যোজনা, গ্রামীণ রাস্তার কাজ পুজোর মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে কর্মী বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এর ফলে একদিকে যেমন বাংলা এগোবে, পাশাপাশি গ্রামবাংলার মানুষও কাজ পাবেন।
রেড জোনের মধ্যেও তিনটি আলাদা আলাদা জোনের উল্লেখ মুখ্যমন্ত্রী করেছেন এদিন। তিনি বলেন, 'রেড জোনের মধ্যে এ, বি ও সি নামে তিনটে আলাদা জোনে ভাগ করুন। রেড জোন এ-তে ব্যারিকেড থাকবে। বি-এর ক্ষেত্রে ব্যারিকেড একটু শিথিল হবে। সি-এর ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ দেওয়া হবে।' করোনাকে মোকাবিলা করতে গেলে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই বলে জানান তিনি। এই প্রসঙ্গে আশাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রায় ৫.৪ কোটি বাড়ি গিয়ে গিয়ে সার্ভে করেছেন তাঁরা। ওঁরা আমাদের গর্ব। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বজায় রাখার কথা মাইকে করে ব্লকে ব্লকে ঘোষণা করতে হবে বারবার। হাট, বাজার, বাসস্ট্যান্ড প্রভৃতি স্থানে গিয়ে মাইকিং করতে হবে।'