কলকাতা: মঙ্গলবার জনগণের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশ জুড়ে লক ডাউন পরিস্থিতি ঘোষণা করেন। করোনা পরিস্থিতিতে সাধুবাদ জানিয়েছে প্রায় সমস্ত রাজ্যই। এই নিয়ম মেনে চলার কথাও শোনা গেছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। তবে পরিস্থিতি অনুযাতী শিথিল হতে পারে লক ডাউন, বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনই শোনা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণে।
এদিন নবান্নে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'ন্যাশনাল ডিজাস্টার অ্যাক্ট অনুযায়ী লক ডাউনের ঘোষণা করা হয়েছে। এটা আগে কখনও হয়নি। এই প্রথম। এই নিয়ম লাগু করার সময় রাজ্য সরকারকে জানানো হয়নি। ফলে কোন রাজ্যের, কী অবস্থা, সেই বিষয়ে আমরা আমাদের মতামত দিতে পারিনি। কেন্দ্র সরকার করেছে। আমাদের সবাইকে এটা মেনে চলতে হবে। কিন্তু মেনে চলতে গেলেও রাজ্যের হাতে কিছু ছাড় রয়েছে। আমরা কোন বিষয়ে ছাড় দেব এবং কোন বিষয়ে ছাড় দেব না, তা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে।' সেই বিষয়ে জানানো হবে আগামী ৩১ মার্চে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমরা যদি দেখি মানুষ কিছুই পাচ্ছে না। তখন তো আমাকে ছাড় দিতেই হতে পারে।' তাছাড়া তিনি এও জানান, '১৫ এপ্রিল পর্যন্ত কেন্দ্র সরকারের তরফে লক ডাউন জারি হয়েছে। এটা চলবে। কিন্তু তার মধ্যে আমাদের পয়লা বৈশাখও পড়বে। শুধু আমাদের নয়, পাঞ্জাবের নতুন বছরও পড়বে। অন্য অনেক রাজ্যেও পড়বে। সুতরাং এগুলো পরে বিবেচনা করে আমরা ৩১ তারিখে আবার জানাব।'
ইতিমধ্যেই তিনি কৃষকদের কাজের জন্য মাঠে যাওয়ার ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। হোম ডেলিভারি বা জরুরি পরিষেবা থেকে যেন মানুষ বঞ্চিত না হন, সাবধান করেছেন প্রশাসনের কর্মীদেরও। ২১ দিন লক ডাউন মানে খাবারের অসুবিধা হবে না। রেশন দোকানে এক মাসের খাবার দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, 'এত চিন্তা করবেন না। আমরা সবাই তো আপনাদের জন্য আছি। আপনাদের দেখার জন্য কেউ নেই, এমনটা ভাববেন না। এটা তো আমাদের সকলকে মোকাবিলা করতে হবে। আপনাদের সমর্থন না পেলে আমি কী করে মোকাবিলা করব বলুন!'