বাঁকুড়া: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে চালু হওয়া স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে বড় সাফল্য৷ মোট ১১ লক্ষ ৪৮ হাজার ৯৬৮ জন রাজ্যবাসী এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। আগে নার্সিংহোমের চিকিৎসা করানো এককথায় গরীব ও নিম্নবিত্তদের নাগালের বাইরে ছিল৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর হাতে চালু হওয়া প্রকল্পের মাধ্যমে তা অসম্ভব সম্ভব হয়েছে বলে করছে শাসক দল৷ গরীবদের জন্যে প্রায় বিনা খরচে নার্সিংহোমে চিকিৎসার যে স্বপ্ন মুখ্যমন্ত্রী দেখেছিলেন তা বাস্তবরূপ নিয়েছে। সরকারি তরফে এই প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত মোট ১১৫৫ কোটি ৪৫ লক্ষ ৬১ হাজার ৯৯০ টাকা খরচ করা হয়েছে। এই সাফল্যে খুশি নবান্ন।
এই প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণে রাজ্যের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাঁকুড়া জেলা। বাঁকুড়ার মোট ১ লক্ষ ৩২ হাজার ৩৫৩ জন স্বাস্থ্য সাথীর মাধ্যমে চিকিৎসা করিয়েছেন। এই পরিমান মানুষকে প্রকল্পের সুবিধা দিতে রাজ্যের কোষাগার থেকে ১১৩ কোটি ৬৯ লক্ষ ৬৮ হাজার ৮৫ টাকা খরচ করা হয়েছে। বাঁকুড়ার পর রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা। এখানে মোট ১ লক্ষ ১৭ হাজার ৪৫১ জন প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। যার জন্যে খরচ হয়েছে ১৪৮ কোটি ৭৯ লক্ষ ৯০ হাজার ২১৫ টাকা। এরপর রয়েছে নদীয়া জেলা, এখানে মোট গ্রাহকের পরিমান ১ লক্ষ ৫ হাজার ৫৫৬ জন। পরিষেবা খাতে খরচ হয়েছে ৮৪ কোটি ৬৫ লক্ষ ৭০ হাজার ৩৮৩ টাকা। বাঁকুড়া জেলার স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প আধিকারিক মহম্মদ কৌসর আলি জানিয়েছেন, এই জেলায় লকডাউনের সময়েও প্রায় ১৯ হাজার মানুষকে এই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
২০১৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর মাসে কলকাতায় টোকেন কার্ড এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এই প্রকল্পের আওতায় থাকা রাজ্যবাসীকে সুবিধা দেওয়ার কাজ শুরু রাজ্য। বর্তমানে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য, সরকারি চুক্তিভিত্তিক কর্মী, আশাকর্মী, সরকার পোষিত বিদ্যালয়গুলির শিক্ষক, পার্শ্ব-শিক্ষক, কেবল অপারেটর নিয়ে মোট ৯২টি বিভাগের মানুষ এই প্রকল্পের আওতায় আছেন। এই প্রকল্পে আলোচ্য যে কোনও বিভাগের পুরুষ বা মহিলারা তাঁদের পরিবারের সদস্যদের জন্য প্রতি বছর পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা পরিষেবা পান বিনামূল্যে। বাঁকুড়া জেলায় এখনও পর্যন্ত মোট সাত লক্ষ ২৪ হাজার ৯২ জন এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছেন। লকডাউনের সময়ে মানুষের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে বাঁকুড়া জেলায় আলাদা কাউন্টার তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে জরুরি প্রয়োজনে নাম নথিভুক্ত করার সুবিধা পান জেলার মানুষজন।