কলকাতা: নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে চলতি মাসের শুরুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল 'বাংলার গর্ব মমতা' কর্মসূচি। টানা ৭৫ দিন ধরে চলবে এই কর্মসূচি। আগামী ৭ তারিখ থেকে শুরু হবে এই কাজ। অথচ এরই মধ্যে সমালোচনার মুখে 'বাংলার গর্ব মমতা'। ৪ মার্চ সিপিআইএম পশ্চিমবঙ্গের ফেসবুক পেজে এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে বলা হয়েছে 'বাংলার লজ্জা মমতা'। এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা।
'গর্ব নয়, লজ্জা' এমনই লেখা রয়েছে ফেসবুকের পেজে। সিপিআইএম ওয়েস্ট বেঙ্গল পেজ থেকে পোস্ট করা হয়েছে এমনই লেখা একটি ছবি। যেখানে হ্যাশট্যাগ দিয়ে লেখা রয়েছে 'বাংলার লজ্জা মমতা'। 'বাংলার গর্ব মমতা' কর্মসূচির দু'দিনও কাটেনি, এরই মধ্যে 'বাংলার লজ্জা মমতা' বলে কটাক্ষ যে আসলে তৃণমূলের কর্মসূচিকে ইঙ্গিত করেই, সেই কথা কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে। পোস্টটিতে আরও লেখা ছিল, 'অনাহার, অর্ধাহার ও বিনা চিকিৎসায় বন্ধ চা বাগানে প্রতিদিন একটু একটু করে মারা যাচ্ছেন চা শ্রমিকরা। এর পরেও আপনি গর্বিত?'
এমনিতেই তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপি-র আঁতাতের অভিযোগ তোলেন সিপিএম নেতারা। সম্প্রতি সেই সুর শোনা গেছে সুজন চক্রবর্তীর মুখেও। তিনি তো সরাসরি তৃণমূল সুপ্রিমোর নাম নিয়েই কটাক্ষ করেছেন। নেয়াতজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের তৃণমূল দলনেত্রীর ভাষণের প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বোঝাপড়ার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, 'এখন না বলে কোনও উপায় ছিল না। কারণ বোঝাপড়া হয়ে গেছে। বোঝাপড়ার হবার আগে পর্যন্ত কিছু বলেননি। 'বোঝাপড়া তো হয়েই গেল। এবার চলো, আমিও একটু গাল দেব, তুমিও একটু গাল দেবে'। মানুষের কাছে ধরা পড়ে গেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।' এমনকী, নেতাজি ইন্ডোর থেকে অমিত শাহকে কটাক্ষ করা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণকে 'ছেঁদো কথা' বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। অন্যদিকে ৪ মার্চ মালদার সভা থেকে সিপিএম ও বিজেপি-র আঁতাতের কথা শোনা গেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে।