‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্প ‘স্বচ্ছ’, প্রশংসা কেন্দ্রের! ৪৫ হাজার নতুন বাড়ি নির্মানে দিল্লির ছাড়পত্র

পশ্চিমবঙ্গের ৪৬টি পুরসভায় ৪৫ হাজার বাড়ি নির্মানে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। মোদী সরকারের এই অনুমোদনকে নিজেদের স্বচ্ছতার প্রতিদান হিসাবেই বিবেচনা করছে রাজ্যের শাসক দল তথা পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের আধিকারিকেরা। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের জানিয়েছেন শীঘ্রই পুর এলাকায় নতুন বাড়ি নির্মানের কাজ শুরু করা হবে।

 

কলকাতা: কেন্দ্রের ‘হাউজিং ফর অল’ প্রকল্প বাংলায় পরিচিত ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্প হিসাবে৷ কেন্দ্রের গাইডলাইন মেনে, সততার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার কাজ যথাযথ ভাবে  রূপায়ন করে চলেছে৷ এই কারণেই পশ্চিমবঙ্গকে কুর্নিশ জানিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার৷ কেন্দ্রের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রক প্রশংসার পাশাপাশি ফের নতুন বাড়ি নির্মানের ছাড়পত্রও দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে৷

পশ্চিমবঙ্গের ৪৬টি পুরসভায় ৪৫ হাজার বাড়ি নির্মানে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র৷ মোদী সরকারের এই অনুমোদনকে নিজেদের স্বচ্ছতার প্রতিদান হিসাবেই বিবেচনা করছে রাজ্যের শাসক দল তথা পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের আধিকারিকেরা৷ পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের জানিয়েছেন, শীঘ্রই পুর এলাকায় নতুন বাড়ি নির্মানের কাজ শুরু করা হবে। তাঁর কথায়, তৃণমূল সরকার যে সচ্ছতার সঙ্গে কাজ করে কেন্দ্রের এই অনুমোদন তা আরও একবার প্রমাণ করে দিল। তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই নগরোন্নয়ন মন্ত্রক কোন কোন পুরসভায় নতুন করে কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে তার তালিকা তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে।

প্রকল্পের কাজ শুরু করার পর থেকে প্রতিটি রাজ্যের কাজের ওপরে নজর রেখেছিল কেন্দ্রের নগরোন্নয়ন মন্ত্রক। সম্প্রতি মন্ত্রকের প্রধান দুর্গাশঙ্কর মিশ্র এই নিয়ে দিল্লিতে একটি বৈঠক আয়োজন করেছিলেন। সেখানে 'হাউজিং ফর অল' প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে প্রতিটি রাজ্যের অবস্থান জানতে চান তিনি। সেখানে বিভিন্ন তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, প্রকল্পের রূপায়নে সবচেয়ে এগিয়ে আছে পশ্চিমবঙ্গ। পাশাপাশি এই প্রকল্পের সঙ্গেই 'জিওট্যাগিং' প্রযুক্তি যুক্ত করার ক্ষেত্রে নজির গড়েছে বাংলা। এই ‘জিওট্যাগিং’ হল প্রকল্পের উপর ‘ডিজিটাল’ নজরদারির অন্যতম মাধ্যম। ফলে স্বচ্ছতা মেনেই যে বাংলায় কাজ চলছে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ প্রকাশ করতে পারেনি কেন্দ্র৷

মূলত, পুরসভা এলাকায় বস্তিবাসী ও গৃহহীনদের বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার জন্যই এই প্রকল্প গড়ে তোলা হয়েছে। প্রতিটি বাড়ি পিছু ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, বাড়ি তৈরির জন্যে এই টাকার ৪০ শতাংশ দেয় কেন্দ্র, আরও ৪০ শতাংশ দেয় রাজ্য সরকার। বাকি ২০ শতাংশ টাকা উপভোক্তাকে দিতে হয়। নগরোন্নয়ন দফতর তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন পুরসভা মিলিয়ে ১ লক্ষ ২১ হাজার বাড়ি নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির জন্য কাজ কিছুটা আটকে গেলেও, বর্তমানে ২ লক্ষ ২৩ হাজার ৭৯৫টি বাড়ির কাজ চলছে। মন্ত্রক তরফে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পে ৮ লক্ষেরও বেশি বাড়ি নির্মাণের লক্ষ্য রয়েছে রাজ্যের

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

6 + seventeen =