ঢাকা: এপাড় বাংলার জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো-এর মঞ্চ থেকে সাফল্যের সিড়িতে উত্থান। নামডাক হয় দুই বাংলাতেই৷ কিন্তু, সেই সুখ্যাতি বেশি দিন ধরে রাখতে পারেননি বাংলাদেশর গায়ক মইনুল আহাসান নোবেল। তাঁর নামের সঙ্গে জড়িয়েছে একের পর এক বিতর্ক৷ কখনও তির্যক মন্তব্য, কখনও অভব্য ব্যবহার, বারবার বিতর্কের শিরোনামে উঠে এসেছেন বাংলাদেশের এই গায়ক৷
সম্প্রতি নোবেলকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ৪ দিন আগে ঢাকার মতিঝিল থানায় রিয়্যালিটি শো খ্যাত এই গায়কের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়। সেই সূত্র ধরেই শনিবার নোবেলকে আটক করে গোয়েন্দা বিভাগের পুলিশ। এর পরই তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী সালসাবেল মাহমুদকে ডিবি কার্যালয়ে ডেকে পাঠানো হয়। পুলিশের সামনে প্রাক্তন স্বামী নোবেলকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য দেন সালসাবিল। নোবেল যে মাদকাসক্ত, সে কথা স্বীকার করে নেন তিনি। কিন্তু কে বা কারা তাঁকে মাদকের জোগান দিত? এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছুই বলেননি গায়কের প্রাক্তন স্ত্রী।
সালসাবেলের দাবি, ‘‘নোবেল যে মাদকচক্রের ফাঁদে পা দিয়েছেন,সেখানে একজন বিমানসেবিকা রয়েছেন। যিনি নোবেলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। তিনিই নোবেলকে সব ধরনের মাদক সরবরাহ করতেন৷’’ তবে ওই বিমানসেবিকা কিংবা যে চক্র নোবেলকে মাদকের ফাঁদে ফেলেছে বলে অভিযোগ, তাঁদের কারোরই নাম উল্লেখ করেননি সালসাবেল। এর আগেও বেশ কয়েক বার তিনি একটি মাদক চক্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। সেই সময় নোবেল-জায়া নিশানায় করেছিলেন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সরকারি আধিকারিক থেকে শুরু করে শিল্পপতিদের। সমাজমাধ্যমে নাম না নিয়ে পোস্ট করায় সেই সময় হুমকি ফোনও পেয়েছিলেন গায়কের প্রাক্তন স্ত্রী। গত কয়েক মাস ধরেই বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছেন নোবেল। প্রথমে কুড়িগ্রামের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠান করতে গিয়ে ‘মত্ত’ অবস্থায় মঞ্চে ওঠেন গায়ক৷ তাঁর ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই কাণ্ডের পর স্ত্রী সালসাবেল মাহমুদের সঙ্গে আইনি বিচ্ছেদ হয়ে যায় নোবেলের৷
দীর্ঘদিন ধরেই নোবেলের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর বিবাহ বিচ্ছেদের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। তাতে শিলমোহর দেন নোবেলের স্ত্রী নিজেই। তাঁর অভিযোগ ছিল, বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও মাদকের নেশা ছাড়তে রাজি ছিলেন না নোবেল। সেই কারণেই বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন সালসাবেল। বাংলাদেশের এক সংবাদ মাধ্যমের কাছে তিনি জানান, নোবেলের সঙ্গে যখন তাঁর পরিচয় হয়েছিল, সেই সময়ে তিনি মাদকাসক্ত ছিলেন না। রিয়্যালিটি শো থেকে পরিচিতি পাওয়ার পরেই তাঁকে কেউ বা কারা মাদক নিতে উৎসাহিত করেন। সালসাবিলের কথায়, প্রতিদিন প্রায় ৪ লক্ষ টাকার মাদক নিতেন নোবেল।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>