বিশ্বমঞ্চে বাঙালি কিশোরের কামাল! আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার পেল বাংলাদেশের সাদাত

নোবেল পুরস্কারজয়ী মালালা ইউসুফজাইয়ের হাত থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করেছেন সাদাত।

 

ঢাকা: সাইবার বুলিং থেকে শিশুদের রক্ষার জন্য মোবাইল অ্যাপ বানিয়ে তাক লাগালেন বাংলাদেশের ১৭ বছর বয়সী সাদাত রহমান শাকিব। এবছরের আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার জিতলেন তিনি। নোবেল পুরস্কারজয়ী মালালা ইউসুফজাইয়ের হাত থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করেছেন সাদাত।

সাইবার বুলিং থেকে শিশুদের রক্ষার্থে এবং সামাজিক সংগঠন গড়ে তোলার জন্য ‘সাইবার টিনস’ নামের এক মোবাইল অ্যাপ চালু করেন সাদাত। এই অ্যাপের মাধ্যমে সাইবার বুলিংয়ের মত ঘটনা থেকে বহু শিশু উপকৃত হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়ে ১৫ বছরের এক কিশোরী আত্মহত্যা করে, এই ঘটনা প্রচন্ড নাড়া দেয় সাদাতকে। তারপর এই সাইবার বুলিং বিরোধিতায় কাজ করা শুরু করেন তিনি। এই প্রেক্ষিতেই মোবাইল অ্যাপ চালু করার মাধ্যমে বহু শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের পাশে থাকার চেষ্টা করছেন সাদাত। শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ঝুঁকিতে থাকা শিশুদের সুরক্ষা কাজের জন্য প্রতি বছর এই পুরস্কার দেয় ‘কিডস রাইটস’ নামের একটি সংগঠন। ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীরা এই পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে পারে। কিডস রাইটসের বিশেষজ্ঞ কমিটি ৪২টি দেশের ১৪২ জন প্রতিযোগীর মধ্যে সাদাতকে এ বছরের পুরস্কারের জন্য বিজয়ী ঘোষণা করেছে। 

সাদাত স্কুল ও কলেজগুলিতে ইন্টারনেট সুরক্ষা সেমিনার নিয়ে ৪৫,০০০-এরও বেশি কিশোর-কিশোরী পৌঁছেছে। তিনি তার স্থানীয় এলাকার প্রতিটি স্কুলে “সাইবার ক্লাব” তৈরি করেছেন। এই ক্লাবগুলিতে, তরুণরা ডিজিটাল সাক্ষরতার জ্ঞানের উপর শিক্ষিত হয়। তিনি এখন বাংলাদেশ জুড়ে সাইবার বুলিংয়ের শিকারদের সহায়তা করার জন্য তার স্থানীয় অঞ্চল ছাড়িয়ে অ্যাপটি ছড়িয়ে দিতে চান।উল্লেখ্য, নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে গত ১৩ নভেম্বর এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ১৭ বছর বয়সী সাদাতের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। পুরস্কার তুলে দেন সবচেয়ে কম বয়েসে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী মালালা ইউসুফজাই। মিখাইল গর্বাচেভের সভাপতিত্বে রোমের নোবেল শান্তি বিজয়ীদের বিশ্ব শীর্ষ সম্মেলনের সময় ২০০৫ সালে এই সম্মানজনক পুরষ্কারটি চালু হয়েছিল। তার পর থেকে প্রতিবছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী এই পুরস্কারটি প্রদান করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *