নিউমোনিয়া-অ্যালার্জির ওষুধেই সারবে করোনা! দিশা দেখাচ্ছেন বাঙালি কন্যা

কলকাতা: গোটা দেশের পরিস্থিতি এখন বেশ খারাপ। প্রত্যেকটা দিন কাটছে আতঙ্কে। করোনা আবহে সর্বত্র সমস্যা দেখা দিয়েছে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের প্রতিষেধক কবে আবিষ্কার হবে সেই জন্য দিন গুণছে গোটা বিশ্ব। আর এরই মধ্যে আশার আলো দেখালেন বর্ধমানের শ্বেতা সিং। পুরনো ওশুধ ডকিংয়ের মাধ্যমে COVID-19 এর মতো মারাত্মক রোগ সারিয়ে তোলার আশা জাগিয়েছেন তিনি।

 

কলকাতা: গোটা দেশের পরিস্থিতি এখন বেশ খারাপ। প্রত্যেকটা দিন কাটছে আতঙ্কে। করোনা আবহে সর্বত্র সমস্যা দেখা দিয়েছে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের প্রতিষেধক কবে আবিষ্কার হবে সেই জন্য দিন গুণছে গোটা বিশ্ব। আর এরই মধ্যে আশার আলো দেখালেন বর্ধমানের শ্বেতা সিং। পুরনো ওশুধ ডকিংয়ের মাধ্যমে COVID-19 এর মতো মারাত্মক রোগ সারিয়ে তোলার আশা জাগিয়েছেন তিনি।

পশ্চিম বর্ধমান জেলার জামুরিয়ার মেয়ে শ্বেতা। বর্তমানে তিনি গবেষণার কাজ করছেন। চিকিৎসাবিদ্যা কী করে আরও উন্নত করা যায়? কোন পরিস্থিতিতে চট করে করোনা মোকাবেলা করা যায়? তার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন শ্বেতা। এরই মধ্যে তিনি এক নতুন দিগন্তের সন্ধান পেলেন। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক হেক্টর ফ্লোরেজের সঙ্গে যৌথভাবে গবেষণা করেছেন তিনি। সেই গবেষণা থেকে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

'এফ ওয়ান থাউজেন্ড রিসার্চ' পত্রিকায় তাঁদের সেই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় বেশ কিছু ওষুধের সংকেত এবং আনবিক গঠন বিশ্লেষণ করেছেন শ্বেতা এবং গবেষক হেক্টর। সেখানেই জানানো হয়েছে যে নিউমোনিয়া বা অ্যালার্জির জন্য ব্যবহৃত ওষুধেই মিলতে পারে করোনার হাত থেকে রেহাই। নিউমোনিয়া বা অ্যালার্জির এমন কিছু ওষুধ রয়েছে যার মলিকিউলার ডকিংয়ের মাধ্যমে করোনার চিকিৎসা করা সম্ভব।

তবে তাদের গবেষণা এখনও পর্যন্ত স্বীকৃতি পায়নি। কারণ ওই পত্রিকাটি একটি ওপেন ম্যাগাজিন। স্বীকৃতি পেতে গেলে এই গবেষণাকে অন্যান্য চিকিৎসক এবং বিজ্ঞানীদের সিলমোহর পেতে হবে। অনেকেই এই দুই গবেষকের গবেষণাকে পরীক্ষাগারে আরও অনেক পরীক্ষা করে তবেই ব্যবহার করার কথা বলেছেন। তবেই এই দুই গবেষকের গবেষণায় যদি পরীক্ষাগারে ফলপ্রসূ প্রমাণিত হয় তবে চিকিৎসার পথে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

জামুড়িয়ার এক ব্যবসায়ী পরিবারে জন্ম শ্বেতার। প্রথম জীবনে বর্ধমানেই তাঁর পড়াশোনা। আসানসোলের লরেটো কনভেন্ট থেকে পড়াশোনা করেন শ্বেতা। এরপর হায়ার এডুকেশনের জন্য তিনি চলে যান পুনেতে। সেখানে তিনি পিএইচডি করেন। ২০১৮ সালের তাঁর বিয়ে হয়। তারপর থেকে আমেরিকাতেই রয়েছেন তিনি। সেখানে উচ্চশিক্ষায় প্রস্তুতি চালাচ্ছিলেন। এর মধ্যে করোন ভাইরাসের আক্রমণ হয় বিশ্বজুড়ে। সময়ের অপচয় না করে শ্বেতা করোনা ভাইরাস নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। গবেষণার মধ্যেই ১২৯টি ওষুধ এবং ৯৯২টি আয়ুর্বেদিক সামগ্রী মিশিয়ে নতুন কম্পোজিশন তৈরি করেন তিনি। যদিও শ্বেতার গবেষণা এখনও পর্যন্ত স্বীকৃত পায়নি। তবে তাঁর এই প্রচেষ্টা বাঙালি জন্য যে কতটা গর্বের বিষয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × one =