বিশ্বদীপ নন্দী, বালুরঘাট: আলু ৩৫ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, লঙ্কা ২০০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা। আজকাল বাজারে সবজি কিনতে গেল হাত পোড়ার জোগাড় আম জনতার। মুখ্যমন্ত্রী আলুর দাম বেঁধে দিলেও কোনও ভাবেই কমানো যাচ্ছে না তা। বাকি শাকসবজির ক্ষেত্রেও অবস্থা সেই একই। করোনা পরিস্থিতিতে এমনিতেই উপার্জনের রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে বহু খেটে খাওয়া মানুষের। তার ওপরে সবজির এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে মাথায় হাত মধ্যবিত্ত বাঙালির। এর জন্য সেই রাজ্য সরকারকেই দায়ী করছে বঙ্গ বিজেপির একাংশ। রবিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের হিলি মোড়ে তাই অভিনব প্রতিবাদে বসল গেরুয়া শিবিরের বেশ কিছু কর্মী।
বিজেপি-র অভিযোগ, সবজির ওপরেও তৃণমূল নেতারা কাটমানি খাচ্ছেন। আর সে কারণেই এমন অগ্নিমূল্য হয়ে আছে তা। তাই সবজির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং সবজির ওপর তৃণমূল নেতাদের কাটমানি খাওয়ার প্রতিবাদে বালুরঘাট টাউন বিজেপির পক্ষ থেকে হিলি মোড়ে রাস্তায় বসে সাদা ভাত খেয়ে অভিনব বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেন। শুধু সাদা ভাত খাওয়াই নয়, প্রতিবাদ স্বরূপ কাঁচা শাকসবজি ঝুলিয়ে রাখতে দেখা গেল তাঁদের। প্রতিবাদ প্রদর্শনকারী বিজেপি নেতাদের দাবি, তৃণমূল নেতারা সবজি ওপরেও কাটমানি খাওয়ার ফলে এই সবজির অগ্নিমূল্য। দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ার পরেও রাজ্য সরকার কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।
তাই সবজির অগ্নিমূল্যের ফলে অতিমারির এই দুর্বিষহ সময়ে দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষের কাছে সবজি কেনা যথেষ্ট সমস্যার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই কারণেই তাদের এই অভিনব প্রতিবাদ। আজকের এই প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন বালুরঘাট টাউন বিজেপির সভাপতি সুমন বর্মন, মহিলা মোর্চা সভানেত্রী সঙ্ঘমিত্রা রায় সহ অন্যান্য শহর মন্ডলের নেতৃবৃন্দ। বালুরঘাটের মতোই রাজ্যের অন্যান্য জায়গায় সবজির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কোনও প্রতিবাদ কর্মসূচি হয় কি না সেটাই দেখার। গরিব মানুষের যে এই মুহূর্তে হাঁড়ির হাল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।