bakibur rahman
কলকাতা: মিলল না জামিন৷ ইডি হেফাজত শেষে রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানকে জেল হেফাজতে পাঠাল আদালত। শনিবার বাকিবুরের জামিনের আবেদন খারিজ করে তাঁকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন ব্যাঙ্কশাল আদালতের বিচারক। ইডি জেলে গিয়ে বাকিবুরকে জেরা করতে পারবে বলে জানিয়েছে আদালত।
শনিবারই শেষ হয় বাকিবুরের ইডি হেফাজতের মেয়াদ৷ এদিন দুপুরেই আদালতে পেশ করা হয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ এই ব্যবসায়ীকে। আদালতে বাকিবুরের জামিনের আবেদন জানান তাঁর আইনজীবী। কিন্তু, তাঁর জামিনের বিরোধিতা করেন ইডির আইনজীবী৷ তিনি বলেন, বাকিবুরের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। রেশন থেকে খাদ্যশস্য পাচারের ৩টি অভিযোগ আগেই উঠেছিল। কিন্তু, তাঁর মাথায় প্রভাবশালী ব্যক্তির হাত থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিশ। গ্রেফতার অনেক দূরের কথা, তাঁকে জেরাও করা হয়নি। ইডি-র আইনজীবী বলেন, বাকিবুর প্রভাবশালী ব্যক্তি, তাঁকে জামিন দেওয়া হলে, তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হতে পারে৷
ইডির আইনজীবী এদিন আরও বলেন, রেশন মামলায় তদন্ত সবে শুরু হয়েছে। তদন্তের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে আরও অনেক তথ্য উঠে আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে। অভিযুক্তকেও ফের জেরা করার প্রয়োজন হতে পারে। এর পর বিচারক জানতে চান, বাকিবুর যে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তার কী কোনও প্রমাণ রয়েছে? জবাবে ইডির আইনজীবী ৩টি সংস্থার নাম উল্লেখ করেন। যে সংস্থায় এক সময় যৌথভাবে বোর্ড অফ ডিরেক্টর্স পদে ছিলেন বাকিবুর রহমান ও বালুর পরিবারের সদস্যরা। ওই সংস্থাগুলি থেকে জ্যোতিপ্রিয় প্রায় ১২ কোটি টাকা ঋণ নেন বলেও জানিয়েছে আদালত৷ রেশন বণ্টন মামলায় আর্থিক যোগ খুঁজে পেতে জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্গে বাকিবুরকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলেও ইডি সূত্রে খবর৷