তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক! আচমকা রাজভবনে তৃণমূল বিধায়ক বৈশালী, তুঙ্গে জল্পনা

তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক! আচমকা রাজভবনে তৃণমূল বিধায়ক বৈশালী, তুঙ্গে জল্পনা

 

কলকাতা:  ভোটের আগেই শুভেন্দু দল ছাড়বেন, তা একপ্রকার নিশ্চিত ছিল তৃণমূল নেতৃত্ব৷ কিন্তু, শুভেন্দুর পর একের পর এক নেতা দল ছেড়ে বেরিয়ে যাবে, তা হইতো অনুমান করতে পারেনি তৃণমূলের তরফে বরত পাওয়া পেশাদার সংস্থা৷ ভোটের আগে গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের দল ছাড়ার হিড়িক যে তৃণমূলের পক্ষ্যে শুভ লক্ষণ না, তা বেমালুন বুঝতে পারেন শীর্ষ নেতৃত্ব৷ ভোটের মাস পাঁচেক আগে থেকেই ভাঙন অব্যাহত শাসকদলের অন্দরে৷ একের পর এক নেতা দল ছাড়ছেন৷ তৃণমূল ছাড়ার হিড়িকের মধ্যেই জল্পনা বাড়ালেন তৃণমূল বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া৷ আচমকা রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করলেন বৈশালী ডালমিয়া৷ যদিও, শাসকদল তৃণমূলের তরফে কটাক্ষ করে বারংবার বলা হয়েছে, রাজভবন এখন নাকি বিজেপির কার্যাচল৷ কিন্তু, সেই কার্যালয়ে আচমকা তৃণমূল বিধায়কের উপস্থিতি বাড়িয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক৷

আজ দুপুরে তৃণমূল বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যাপারে টুইটও করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়৷ প্রকাশ করেন ছবিও৷ টুইটে রাজ্যপাল লেখেন, ‌‘‌আজ রাজভবনে এসে আমার সঙ্গে কথা বলেছেন বালি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া৷ প্রশাসনিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন তিনি৷’’

কিন্তু, নানান ইস্যুতে যখন সপ্তমে রাজ্য-রাজ্যভবন সংঘাত, ঠিক তখন এমন কোন প্রশাসনিক বিষয়ে রাজভবে ছুটতে হল তৃণমূল বিধায়ককে? বিধায়ক হিসাবে তিনি রাজভবন যেতেই পারেন, তিনি তাঁর দল তো রাজভবনকে ‘বিজেপির কার্যকর’ বলে কটাক্ষ করে থাকে৷ সেক্ষেত্রে নবান্ন কিংবা বিধানসভা পথ ছেড়ে রাজভবন কেন? জল্পনা বাড়ছে রাজনীতির ময়দানে৷ রাজ্য রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, প্রশাসনিক ব্যাপার হঠাৎ কেন রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ? তাহলে কি দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে এড়াতে চাইছেন তিনি?

সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় দলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন বৈশালী৷ পাল্টা বৈশালীকে আক্রমণ করে পোস্টার পড়তেও দেখা গিয়েছে৷ নামহীন পোস্টারে ‘বহিরাগত বিধায়কে’র বিরুদ্ধে ওঠে প্রশ্ন৷ তাঁকে প্রার্থী না করারও দাবি তোলা হয়৷ জবাব দেন বৈশালী৷ জানান, তিনি বহিরাগত নন৷ যাঁরা পোস্টার লাগিয়েছেন তাঁরা প্রধানমন্ত্রী এ রাজ্যে এলে তাঁকেও বহিরাগত বলেন? পাল্টা প্রশ্ন তোলেন বৈশালী৷ এরপর রাজভবনে তৃণমূল বিধায়কের হাজিরা নতুন জল্পনা তৈরি করেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × 4 =