ঠোঁটে ঠোঁট রেখে উষ্ণ চুম্বন, সোহাগে আদরে ‘দুষ্টু’ শোভনের জন্মদিন পালন বৈশাখীর

ঠোঁটে ঠোঁট রেখে উষ্ণ চুম্বন, সোহাগে আদরে ‘দুষ্টু’ শোভনের জন্মদিন পালন বৈশাখীর

 কলকাতা:  রিমঝিম বৃষ্টির মাঝেই একরাশ উষ্ণতা ছড়াল ওঁদের আদুরে প্রেম৷ ঠোঁটে ঠোঁট রেখে হল জন্মদিনের উদযাপন৷ জীবনের ৫৯টি বসন্ত পেরিয়ে ৬০-এ পা দিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। ভালোবাসার মানুষটির জন্মদিন বলে কথা৷ স্পেশ্যাল কিছু হবে না, তা আবার হয় নাকি? তাই তো বন্ধুর জন্য জন্মদিনের আয়োজন করে ফেললেন বৈশাখী৷ ফুল, বেলুন দিয়ে বাড়ি সাজিয়ে, কেট কেটে পালন করলেন শোভনের জন্মদিন।  সেই সঙ্গে মনের মানুষটিকে উষ্ণ ভালোবাসায় ভরিয়ে দিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘরোয়া অনুষ্ঠানে শোভন-বৈশাখীর সঙ্গে সঙ্গত দিলেন মেয়ে মহুল। 

এদিন শোভন-বৈশাখীর ঘর সাজানো হয়েছিল গোলাপি, নীল, সাদা বেলুনে। চারিপাশে বসেছিল সফট টয়েজের মেলা। সব মিলিয়ে মিষ্টি প্রেমের আবেশ৷ মধ্যরাতের সেলিব্রেশনে ঠোঁটে ঠোঁট মিশতেই লজ্জায় রাঙা হয়ে উঠলেন দু’জনে। কেক কাটার সেই মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। 

‘হ্যাপি বার্থডে দুষ্টু’ এই থিমেই শোভনের জন্মদিনের প্ল্যান করেছিলেন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। মেয়ে মহুলের ‘দুষ্টু’ যে তিনি৷ এদিন শোভনের জন্য ক্রিম কালারের একটি ‘স্মাইলি’ কেক এনেছিলেন বৈশাখী। যার নীচে লেখা ‘হ্যাপি বার্থডে দুষ্টু’৷ সেই কেক কেটেই জন্মদিন উদযাপন করেন শোভন। সেই সঙ্গে আনা হয়েছিল আরও একটি চকোলেট কেক। কেকের সঙ্গে ঘরের দেওয়ালও সেজে উঠেছিল ‘স্মাইলি’ আঁকা ‘হ্যাপি বার্থডে দুষ্টু’ ওয়াল পেইন্টিংয়ে। 

সবের মাঝে ফের নজর কেড়েছে দুই লাভ বার্ডসের পোশাক৷ শোভন-বৈশাখীর পোশাকের রং মিলান্তি এক সময় ছিল টক অফ দ্য টাউন। ‘বিশেষ দিনে ফের তাঁরা নিজেদের রাঙাল এক রঙে৷ এদিন শোভনের পরনে ছিল গোলাপী শার্ট, আর বৈশাখী পড়েছিলেন গোলাপী রঙের সালোয়ার। জন্মদিনে একাতাড়া লাল গোলাপ শোভনের হাতে তুলে দিতেই একে অপরকে জড়িয়ে ধরলেন দু’জনে। সঙ্গে ছিল আরও উপহার৷ মনের মানুষের থেকে ভালোবাসা-মাখা উপহারে তখন আপ্লুত শোভন। বান্ধবীর গালে চুমু এঁকে দিলেন তিনি।সব মিলিয়ে ধরা পড়ল সুখী পরিবারের ছবি৷ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা অনেক দিন ধরেই অসুস্থ। বিশেষ দিনে গোলপার্কের ফ্ল্যাটে উপস্থিত ছিলেন তিনিও। 

২০১৮ -র নভেম্বরে বেহালার পর্ণশ্রীর নিজের বাড়ি ছেড়ে বেড়িয়ে আসেন শোভন। গোলপার্কের একটি আবাসনে বৈশাখীর সঙ্গে থাকতে শুরু করেন তিনি। স্ত্রী রত্নার সঙ্গে ডিভোর্সের মামলা দায়ের করেন। সেই মামলা এখনও চলছে৷ ক’দিন আগেই আগেই আলিপুর কোর্টে বিচ্ছেদের মামলার শুনানিতে হাজির হয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও রত্না চট্টোপাধ্যায়। আদালত চত্বরেই তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বৈশাখীও। শোভন-রত্নার অশান্তিতে মধ্য়াহ্নভোজের বিরতিতে আদালত চত্বরে ঘটে তুলকালাম। কোনওমতে দু’জনকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *