BSF জওয়ানকে পিটিয়ে ৩ দিনে গ্রেফতারি, ১৮ ঘণ্টায় জামিন তৃণমূল কর্মীদের

এদিন কান্দি মহকুমা আদালতে জামিন হয়ে যায় ওই দুই তৃণমূল কর্মীর।

 

কান্দি: শনিবার মুর্শিদাবাদের কান্দিতে তৃণমূল কংগ্রেসের মিছিলে বিএসএফ এক জওয়ানকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে। তাদের গ্রেফতার করতে ৭২ ঘণ্টা সময় লেগেছিল। তবে গ্রেফতার হওয়ার ১৮ ঘণ্টার মধ্যেই ওই দুই তৃণমূল কর্মীর জামিন হয়ে গেল! এদিন কান্দি মহকুমা আদালতে জামিন হয়ে যায় ওই দুই তৃণমূল কর্মীর। 

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে গ্রেফতার হওয়ার পরে দিন দুপুরের মধ্যেই ওই দুই তৃণমূল কর্মীর জামিন হয়ে যায় কান্দি মহকুমা আদালতে। জামিনের খবর শোনার পর এই প্রচন্ড ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ওই জওয়ানের পরিবারের সদস্যরা। তাদের স্পষ্ট বক্তব্য, শাসকদলের কর্মী বলেই এত তাড়াতাড়ি জামিন পেয়ে গেল তারা। একই সঙ্গে তারা পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, এটা একটা গণপিটুনির ঘটনা কিন্তু পুলিশ সেভাবে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি উল্টে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী হওয়ায় তারা এত তাড়াতাড়ি জামিন পেয়ে গেছে। এর পাশাপাশি তারা আরও জানিয়েছেন, শুধু এই দুই জন তৃণমূল কর্মী ছিলেন না, আরো অনেকে মিলে ওই বিএসএফ জওয়ানকে মারধর করেছে, কিন্তু তাদের গ্রেফতার করার কোন রকম প্রক্রিয়া চালায়নি পুলিশ। গোটা ঘটনায় ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাংলায় কারণ কংগ্রেস এবং বিজেপি, দুই বিরোধীদল রাজ্যের শাসকদলের তীব্র সমালোচনা করেছে। 

প্রসঙ্গত, শনিবার মুর্শিদাবাদের কান্দি তৃণমূল কংগ্রেসের মিছিল ছিল। সেই মিছিলে এক বিএসএফ জওয়ানকে ব্যাপক মারধর করা হয়। অভিযোগের তীর ওঠে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের দিকে। জানা গিয়েছিল, বিশ্বজিৎ সাহানি নামে ওই জওয়ান জম্মু-কাশ্মীরের বিএসএফের ১৬৯ ব্যাটেলিয়ানে কর্মরত। তিনি তৃণমূলের ওই মিছিলে হঠাৎ বাইক নিয়ে ঢুকে যাওয়ার জন্য নাকি এই ঘটনা ঘটেছে। সূত্রের খবর, চিকিৎসার জন্য লকডাউন কার্যকরী হওয়ার আগে বাড়িতে এসেছিলেন তিনি। শনিবার রাস্তায় বেরিয়ে তৃণমূলের মিছিল টপকে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিশ্বজিৎ। তখনই তার সঙ্গে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বচসা বাঁধে, পরবর্তী ক্ষেত্রে তা হাতাহাতিতে চলে যায়। ‌ এরপর এই রাস্তায় ফেলে সেই জওয়ানকে মারধর করা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি। একই সঙ্গে তার বাইকও ভাঙচুর করা হয়েছে। আপাতত বিশ্বজিৎ হাসপাতালে ভর্তি। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার কনভয় হামলার ব্যাপারেও অস্বস্তিতে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 + 5 =