সংসদে নজিরবিহীন বাদল অধিবেশন! ডাকা হল না সর্বদলীয় বৈঠক

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই আগামী সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। আগামীকাল অর্থাৎ রবিবার অধিবেশনের কর্মসূচী নিয়ে ‘বিজনেস অ্যাডভাইসারি কমিটি’র বৈঠক ডাকলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা ও রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবারের অধিবেশন সকাল ও বিকাল দুইভাবে ভাগ করা হয়েছে, যা নজিরবিহীন।

 

নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই আগামী সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। রবিবার অধিবেশনের কর্মসূচি নিয়ে ‘বিজনেস অ্যাডভাইসারি কমিটি’র বৈঠক ডাকলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা ও রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু৷ করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবারের অধিবেশন সকাল ও বিকাল দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে, যা নজিরবিহীন।

সংসদের অধিবেশনের আগে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকাই নিয়ম, যেখানে প্রধানমন্ত্রী সহ সমস্ত বিরোধী দলের নেতৃত্বরা উপস্থিত থাকেন। কিন্তু এবারে তা সম্ভব নয়। এমনকি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ ৬ জন মন্ত্রী এবারের অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে নাও পারেন। জানা গিয়েছে, অধিবেশনের প্রথম দিনে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি দেবেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী চিকিৎসক হর্ষবর্ধন। তিনি জানাবেন কোভিড মোকাবিলায় নরেন্দ্র মোদী সরকারের নেতৃত্বে ভারত এগিয়ে আছে। কিন্তু এ নিয়ে সংসদে যে বিতর্ক সৃষ্টি হবেই তা ধরেই নিয়েছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। রাহুল গান্ধী ফেব্রুয়ারি মাসেই করোনা নিয়ে সরকারকে সতর্ক করেছিলেন, কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে সে বিষয়ে কোনও জবাবদিহি করা হয়নি। আবার  বাজেট অধিবেশনের শেষ দিকে তৃণমূল এমপিরা রাজ্যসভায় মুখে মাস্ক পরে ঢুকেছিলেন বলে চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া না‌ইডু মাস্ক খুলে আসার কথা বলেছিলেন।

এদিকে ক্রমশ করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে বলে লোকসভার অধিবেশন বন্ধ করে দেওয়ার জন্য তৃণমূলের তরফে সৌগত রায়, প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলেন। তার জবাবে প্রধানমন্ত্রী  বলেছিলেন, ‘দাদা বাচ্চাদের মতো ছুটি চাইবেন না।’ কিন্তু দেরিতে হলেও সরকার লকডাউনের মাধ্যমে পরে সেগুলিই করেছে। স্বাভাবিকভাবেই বিরোধীরা এবার সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে করোনা ইস্যুতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে বলাই বাহুল্য। যদিও করোনা পরিস্থিতির জন্যে একাধিক নিয়ম কানুন করা হয়েছে অধিবেশনের সময়। রাখা হচ্ছে একাধিক নিষেধাজ্ঞা। মানা হবে একাধিক স্বাস্থ্যবিধি। যদিও অধিবেশন চলাকালীন কোনঅ কর্মী আক্রান্ত হলে কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *