কলকাতা: আরও একবার গ্রাম বাংলাজুড়ে উড়ল সবুজ আবির৷ তৃণমূলের জয় যখন নিশ্চিত, তখন ভোট সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ টানলেন রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। মঙ্গলবার পঞ্চায়েত ভোটের ফল ঘোষণার মাঝেই তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য তাঁর৷ প্রথম সারির এক সংবাদমাধ্যমকে বাবুল বলেন, ‘‘তৃণমূল এমনিতেই জিতত। যে সব জায়গায় গন্ডগোল হয়েছে তার কোনও প্রয়োজন ছিল না!’’
বাবুলের কথায়, ‘‘প্রায় ৭০ হাজার বুথের মধ্যে যে ১০০টি বুথে গন্ডগোল হয়েছে, সেটাই সংবাদমাধ্যম বার বার ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দেখাচ্ছে। এর জন্য আমি সংবাদমাধ্যমকে দোষ দিতে নারাজ। ৭০টি বুথের গন্ডগোলে যদি ৪০টি প্রাণ যায়, তা হলেও আমাদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।’’ তাঁর মতে, নিচুতলার কর্মীরা গন্ডগোল করে, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সমালোচনার রাস্তা খুঁজে পায় বিরোধীরা৷ বাবুলের কথায়, ‘‘মমতাদিদি এবং অভিষেক, যাঁরা অত্যন্ত দৃঢ় ভাষায় বার বার সাবধান করেছিলেন যে, এ সব বরদাস্ত করা হবে না৷ এতে তাঁদের গায়ে কাদা ছেটানোর সুযোগ পেয়ে যায় বিরোধীরা। ওঁরা কিন্তু (বিরোধীরা)চেয়েছিল গন্ডগোল হোক এবং তৃণমূল কলুষিত হোক।’’
তাঁর সাফ কথা, ‘‘নিচুতলার কর্মীদের বুঝতে হবে যে, মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে সহজ করতে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যে প্রকল্পগুলি চালু করেছেন তাতে মানুষ খুশি। তাঁরা এমনিতেই তৃণমূলকে ভোট দিতেন। এর জন্য এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করার কোনও দরকারই ছিল না।’’
সেই সঙ্গে বিজেপি-কেও একহাত নেন বাবুল৷ তিনি বলেন, ‘প্রত্যাখানের ভয়ে খড়কুটো আঁকড়ে ধরছে’। টুইট করে বলেন, ‘‘বাংলার মানুষ খুব জোরালো ও স্পষ্টভাবে মত দিয়েছে। বিভাজনের রাজনীতির মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দিয়েছে’’।
বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেই বাহিনীকে সঠিকভাবে মোতায়েন করেনি রাজ্য সরকার। স্পর্শকাতর বুথ কত, সেই তথ্য ওগোপন করা হয়েছিল।’’
এর পরেই পাল্টা টুইটে বাবুল লেখেন, ‘বাংলায় পায়ের তলার শক্ত মাটি পেতে রীতিমতো লড়াই করতে হচ্ছে বিজেপিকে। প্রমাণ ছাড়া তাঁদের এই আক্রমণ সত্যিই অসাধারণ, আশ্চর্যজনক নয় যদিও’। বাবুলের মতে, ‘প্রত্যাখানের ভয়ে ওরা খড়কুটো আঁকড়ে ধরছে’।
।