কলকাতা: একুশের বিধানসভা ভোটে উঠেছিল দল বদলের ঝড়। নির্বাচনের পর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। সে সময়ে বাবুলকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ‘তৃণমূল ওঁকে ঝুনঝুনি দেবে’।
শনিবার সেই দিলীপই পদ হারা৷ দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দিলেন জেপি নাড্ডা, অমিত শাহরা। সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই দিলীপকে চাঁচাছোলা ভাষায় বিঁধলেন বাবুল। তিনি বলেন, “অবশেষে বাংলা বিজেপির ঠোঁট সিল করে দেওয়া হল। উনি এবার নিজের ওষুধের স্বাদ বুঝবেন। এত বছর দল করার পর উনি ঝুনঝুনি পেয়েছেন।” এখানে থেমে না থেকে বাবুল আরও বলেন, “এখন উনি নিশ্চয়ই বুঝবেন পরিশ্রম করে জেতা সাংসদ পদ কেন আমি ওঁদের মুখের উপর ছুড়ে দিয়ে এসেছিলাম।”
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরই দলে সমন্বয়ের অভাব নিয়ে মুখ খুলেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। সেই সময় পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি ছিলেন দিলীপ ঘোষ। বাবুল মুখ খোলায় অস্বস্তিতে পড়েছিলেন তিনি৷ এখন দিলীপ আবার শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদারদের সিদ্ধান্ত ও পথের সমালোচনায় মুখর। রাজভবনের উপর বিজেপি নেতাদের অতি নির্ভরশীলতা, পঞ্চায়েতে ৬০ শতাংশ বুথে কোনও অশান্তি না হলেও খারাপ ফল করা, রাজ্যে ৩৫৫ ধারা লাগু করার প্রশ্নে বিরোধিতা করে মাথাব্যথা বাড়াচ্ছিলেন রাজ্য বিজেপির। ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান, সম্ভবত সেই ‘শাস্তি’ হিসাবেই পদ গিয়েছে তাঁর৷
দলের একাংশের মতে, বাবুল বোঝাতে চেয়েছেন, বিজেপিতে মুখ খুললেই বিপদ। দিলীপ ঘোষ এত বছর দলের জন্য পরিশ্রম করেও শেষমেশ তাঁর হাতে ঝুনঝুনিই ধরানো হয়েছে। ধীরে ধীরে দলে তাঁকে অপ্রাসঙ্গিক করে দেওয়া হবে।
কেন্দ্রীয় বিজেপিকে আক্রমণ করতে গিয়ে অনুপমকেও নিশানা করেন বাবুল। তবে তাঁর নাম উল্লেখ করেননি। বাবুল লিখেছেন, ‘‘সর্বভারতীয় বিজেপি আসলে বাঙালিদের ঘৃণা করে। বাঙালিরা এই গদ্দার পার্টির কাছে মূল্যহীন। এখন শুধুমাত্র একটা জোকার বাংলা বিজেপির প্রতিনিধিত্ব করেন। সেটা যে কে আশা করি সবাই আন্দাজ করতে পারবেন।”