কলকাতা: কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর জায়গায় চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা সরকার৷ কিন্তু এবার তাঁর চাকরির বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে৷ হাই কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলাও চলছে৷ তবে সোমবার ববিতা সরকারের চাকরি সংক্রান্ত মামলার শুনানি আরও ৪ দিন পিছিয়ে গেল।পরবর্তী শুনানি হবে আগামী শুক্রবার।
আরও পড়ুন- বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি গেল আরও তিন ‘ভুয়ো’ প্রাথমিক শিক্ষকের
এর আগে বৃহস্পতিবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলার শুনানি ছিল। সেদিনও রায়দান স্থগিত রেখেছিল আদালত। বরং ববিতাকে বিচারপতির পরমার্শ ছিল, তিনি যেন মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর থেকে পাওয়া টাকা আলাদা করে সরিয়ে রাখেন। কারণ ভবিষ্যতে তা তাঁকে ফেরত দিতে হতে পারে। এর পর সোমবার শুনানি ছিল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে৷ তবে মামলা চারদিন পিছিয়ে দেওয়া হয়৷
কেন আরও ৪ দিন পিছিয়ে গেল ববিতার মামলা? তার কারণ অবশ্য স্পষ্ট নয়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, মামলাটি আগামী শুক্রবার, অর্থাৎ ১৩ জানুয়ারি শুনবেন তিনি।
উল্লেখ্য, শিলিগুড়ির স্কুলে কাজে যোগ দেওয়া ববিতা সরকারের চাকরি খারিজের দাবি তুলে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন ওই শহরেরই আর এক এসএসসি চাকরিপ্রার্থী অনামিকা রায়। তাঁর দাবি ছিল, ববিতা যে চাকরিটি পেয়েছেন, তার প্রকৃত দাবিদার তিনি৷ ববিতার চাকরি তাঁকে দেওয়া হোক, এই দাবি নিয়ে আদালতে যান অনামিকা। এদিকে, প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার পর ‘যোগ্য’ প্রার্থী হিসাবে ববিতাকে চাকরি দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এমনকী প্রথম দিন থেকে অঙ্কিতার চাকরির সব বেতনও তুলে দেন ববিতার হাতে। মাত্র ৬ মাস আগে এই চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা৷ সেই চাকরিই এবার প্রশ্নের মুখে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>