ঝাঁসি: ফের সংবাদ শিরোনামে যোগীরাজ্য৷ এবার দুই সন্ন্যাসিনী ও তাঁর দুই সঙ্গীকে হেনস্থার অভিযোগে কাঠগড়ায় বিজেপির ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সদস্যরা৷ গত শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসি রেল স্টেশনে দুই সন্ন্যাসিনী ও তাঁর দুই সঙ্গীকে হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের বিরুদ্ধে।
কেরলের চার খ্রিস্টান সন্ন্যাসিনীর বিরুদ্ধে জোর করে ধর্মান্তরণের অভিযোগ তুলে তাঁদের ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসি স্টেশনে। পরে পুলিশের কাছে তাঁরা ধর্মান্তরণ করাচ্ছেন না বলে মুচলেকা দেওয়ার পর ট্রেনে ওঠার অনুমতি দেওয়া হয় তাঁদের। ঘটনায় কেরলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যেই কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন একটি চিঠিতে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। যাঁরা এই ঘটনায় যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান তিনি। পিনারাই বিজয়ন বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনায় দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়। ধর্মীয় সহিষ্ণুতা দেশের প্রাচীন ঐতিহ্য।’ শাহ টুইট করে বলেছেন, ‘ঝাঁসিতে সন্ন্যাসিনীদের হেনস্থার ঘটনায় যাঁরা যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জানা গিয়েছে, গত ১৯ মার্চ দু’জন সন্ন্যাসিনী ও দুই শিক্ষানবিশ উৎকল এক্সপ্রেসে হরিদ্বার থেকে পুরী যাচ্ছিলেন। রেল কম্পার্টমেন্টে তোলা ২৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, সন্ন্যাসিনীদের ঘিরে রয়েছেন কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে পুলিশকর্মীরাও রয়েছেন। একজনকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনাদের জিনিসপত্র নিয়ে আসুন। যদি আপনারা সত্যি বলে থাকেন, তাহলে ফেরত পাঠানো হবে। তেমন কোনও ব্যাপার নয়। চিন্তা করবেন না।‘ পরে আবারও শোনা যায়, এক পুলিশ এভিপির এক সদস্যকে বলেন, তাঁরা নেতাগিরি করছেন। যদিও পুলিশের কথায় পাত্তা না দিয়ে ওই সদস্য বলেন, ‘আরে নেতাগিরি না করলে চলবে?‘ পুলিশ সূত্রে জানা , এবিভিপির ওই সদস্যরা ঋষিকেশে ট্রেনিং ক্যাম্পে গিয়েছিলেন। ওই সন্ন্যাসিনীদের দেখে তাঁদের সন্দেহ হয়, সঙ্গের শিক্ষানবিশ দুই মহিলাকে ধর্মান্তরণের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরে তারাই রেল পুলিশকে খবর দেয়।