sandeshkhali
নিজস্ব প্রতিনিধি: হঠাৎই তৃণমূল কংগ্রেস ১০ মার্চ ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছে। যা কিছুটা অপ্রত্যাশিত বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ তৃণমূল যে ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দেবে এমনটা কিছুদিন আগেও আঁচ করা যায়নি। এই সমাবেশের নাম দেওয়া হয়েছে ‘জনগর্জন’। রাজনৈতিক মহল মনে করছে সন্দেশখালিতে যে অস্বস্তির মুখে পড়তে হয়েছে শাসক দলকে সেখান থেকে নজর ঘোরাতেই তড়িঘড়ি ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে।
একটাই, তাই হল ড্যামেজ কন্ট্রোল করা। ব্রিগেড সমাবেশ থেকে নিশ্চিত ভাবে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সন্দেশখালি প্রসঙ্গে মুখ খুলবেন এটা ধরে নেওয়াই যায়। তাই সেই সমাবেশ থেকে মুখ্যমন্ত্রী কী বার্তা দেবেন তা নিয়ে যথেষ্ট কৌতূহল তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। যদিও তৃণমূল বলছে কেন্দ্রীয় সরকার দীর্ঘদিন প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে বলেই তার প্রতিবাদে এই সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগেই ব্রিগেডের ডাক দিয়েছে তৃণমূল, এমনটাই দল জানাচ্ছে। যদিও এতটা সরলীকরণ করতে রাজি নয় বিরোধীরা। তারা নিশ্চিত সন্দেশখালির ঘটনা থেকে নজর ঘোরানোর পাশাপাশি দলীয় কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করার লক্ষ্যেই এই ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে।
সাধারণভাবে শাসক দলের ডাকা ব্রিগেড সমাবেশ প্রচুর ভিড় হবে এটাই চেনা দস্তুর। তাই তৃণমূলের সমাবেশেও যে ভাল ভিড় হবে সেটা ধরে নেওয়াই যায়। কিন্তু প্রশ্ন হল ব্রিগেড সমাবেশ করেই কী সন্দেশখালির অস্বস্তি থেকে নজর ঘোরাতে পারবে তৃণমূল? দলের নেতাদের একাংশের জঘন্য কার্যকলাপে যে ক্ষত তৈরি হয়েছে, তাতে এত তাড়াতাড়ি মলম দেওয়া কী আদৌ সম্ভব? এভাবে কী মানুষের মনের অস্থিরতা দূর করা যাবে? যথারীতি সেই চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
ঘটনা হল গত লোকসভা নির্বাচনের আগেও ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে তৃণমূল ব্রিগেড সমাবেশ করেছিল। কিন্তু তারপর তৃণমূল আটকে গিয়েছিল ২২টি আসনে। সেবার বিজেপি অতটা ভাল ফল করবে কেউই ভাবতে পারেননি। কিন্তু এবার বিজেপি ৩৫টি আসনে জেতার হুঙ্কার দিতে শুরু করেছে বহুদিন ধরেই। এই আবহের মধ্যে তৃণমূলের হঠাৎ ডাকা ব্রিগেড সমাবেশের মধ্যে যথেষ্ট রাজনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।