নয়াদিল্লি: নয়া বিতর্কে যোগগুরু বাবা রামদেবের পতঞ্জলি। নিরামিষ প্রোডাক্ট বলে চিহ্নিত দাঁত মাজার পাউডারে আমিষ পদার্থ ব্যবহারের অভিযোগে শোরগোল৷ পতঞ্জলির বিরুদ্ধে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সাশা জৈন নামের এক আইনজীবী।
গত কয়েক বছর ধরেই দেশডুড়ে পতঞ্জলির জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়ছে। মূলত ভেষজ পণ্য বিক্রি ককরেই জনমানসের ধীরে ধীরে জায়গা করে নেয় রামদেবের এই ব্র্যান্ড। কিন্তু আজকাল বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছে সংস্থার বিরুদ্ধে৷ অভিযোগ, পতঞ্জলির বিজ্ঞাপনে সবসময় সঠিক তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে না। আইনজীবী জৈনের দাবি, দিব্য দন্ত মাঞ্জন-এর মধ্যেে সমুদ্র ফেন রয়েছে, কিন্তু এর প্যাকেজিং করা হয়েছে ভেষজ পণ্য হিসেবে। যা ক্রেতাস্বার্থকে বিঘ্নিত করে ও জৈন সহ যারা নিরামিষ খান তাঁদের জন্য অত্যন্ত অপমানজনক বলেও দাবি করা হয়েছে৷
সাশার দাবি, পতঞ্জলি যেসব দ্রব্যসামগ্রী দিয়ে দিব্য দন্ত মাঞ্জন তৈরি কেরেছে, তাতে সমুদ্র ফেনের উল্লেখ রয়েছে। এই সমুদ্রফেনকে ইংরেজিতেবলে common cuttlefish৷ যা একটি সামুদ্রিক প্রাণীবিশেষ। মূলত আটটি শুঁড় ও দুটি ল্যাজ বিশিষ্ট এই সামুদ্রিক প্রাণী। আইনজীবীর এই টুইট নিমেষে ভাইরাল হয়ে যায়। অনেক ইউজার পতঞ্জলিকে ট্যাগ করে সত্যি জানতে চেয়েছেন৷ ১৫ দিনের মধ্যে পতঞ্জলিকে আইনি নোটিশের উত্তর দিতে হবে বলেও জানিয়েছেন সাশা জৈন। দাঁত মাজার প্রোডাক্টে সামুদ্রিক প্রাণী থাকার অভিযোগ নিয়ে এবার সংস্থা কী বলে, সেটাই দেখার।
গত বছর নভেম্বর মাসে উত্তরাখণ্ডের আয়ুর্বেদিক দফতর পতঞ্জলির দিব্য ফার্মাসিকে পাঁচটি ওষুধ উৎপাদন করতে নিষেধ করেছিল। পরে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। কেরলের এক চোখের চিকিৎসকের অভিযোগের ভিত্তিতে দিব্য ফার্মাসির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়। এই চিকিৎসকের দাবি ছিল, পতঞ্জলি তাদের বিজ্ঞাপনে দাবি করেছে এই ওষুধ গ্লুকোমা, ক্যাটারাক্ট ও অন্যান্য চোখের অসুখ সারিয়ে দেবে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>