৬০ বছর বয়সে এসে খেললেন জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস! পুনরায় গাঁটছড়া বাঁধলেন আসিস বিদ্যার্থী

৬০ বছর বয়সে এসে খেললেন জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস! পুনরায় গাঁটছড়া বাঁধলেন আসিস বিদ্যার্থী

জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করলেন আসিস বিদ্যার্থী। ৬০ বছর বয়সে আবারও গাঁটছড়া বাঁধলেন। জাতীয় পুরস্কারজয়ী অভিনেতা আশিস বিদ্যার্থী দ্বিতীয় বিয়ে সেরেছেন কলকাতাতেই।অসমের মেয়ে রূপালি বড়ুয়াকে জামাইষষ্ঠীর দিনই ঘরে তুললেন। যিনি কিনা কলকাতার একটি নামি ফ্যাশন হাউসে কর্মরতা। এদিকে স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের পরই মুখ খুললেন প্রথম স্ত্রী।অভিনেত্রী-গায়িকা রাজোশি বড়ুয়া কী বললেন স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে…

আগে থেকেই কলকাতার জামাই ছিলেন আশিস। একসময় শকুন্তলা কন্যা রাজোশিকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। তবে সেই বিয়ে টেকেনি। ২২ বছর দাম্পত্য জীবনের পর ২০২১ সালে আইনি বিচ্ছেদ ঘটে দুজনের সম্মতিতেই। এদিকে ব্যক্তিগত জীবন ব্যক্তিগত রাখতেই পছন্দ করেন রাজোশি। এতদিন অন্তরালে থাকলেও আশিসের দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকেই ফের ‘হট টপিক’ হয়ে উঠেছেন রাজসী। প্রাক্তন স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়ে সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় আশীষ বিদ্যার্থী এবং রাজোশিকে নিয়ে যে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে সেই প্রসঙ্গে শকুন্তলা কন্যা জানান, ‘আমার আর আশিসের ভবিষ্যতের চাওয়া আলাদা। ও যা চায়, তা পাওয়ার সম্পূর্ণ অধিকার ওর রয়েছে।’

বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে গায়িকা এবং প্রাক্তন রেডিও জকি রাজোশি আরও জানিয়েছেন, ‘ও যা চায় সেটা আমার চাওয়ার থেকে আলাদা। বিবাহিত হলেও আমাদের আকাঙ্খা মেলেনি।’
 

কিন্তু বিচ্ছেদ পর্ব মিটতে না মিটতেই আচমকা বিয়ে করে ফেললেনে আশিস? আশিস কি তাহলে ঠকিয়েছিলেন রাজোশিকে? শকুন্তলা কন্যার সোজা উত্তর, ‘আশিস আমাকে কখনও ঠকায়নি। যদি লোকে ভেবে থাকে যে ওর জীবনের উদ্দেশ্য ছিল শুধুই আর একবার বিয়ে করা, তাহলে সেটা ভুল।’
 

আশিস তো আবার বিয়ে করে নিলেন, তাহলে কীএকই পথে হাঁটবেন রাজসীও? অভিনেত্রী-গায়িকার সটান জবাব, ‘আমার বিয়ের দরকার নেই তাই আমি বিয়ে করছি না। আমার বিয়ের দরকার হলে আমিও করতাম। ওর একজন সঙ্গীর দরকার ছিল। ও তাকে খুঁজে পেয়েছে সেটা তো ভাল ব্যাপার। 
 

এখানে আপনাদের অবগত করে রাখি, রাজোশি এবং আশিসের একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। তাঁর নাম অর্থ বিদ্যার্থী। বর্তমানে অস্টিনে টেসলায় কর্মরত তিনি। বাবার দ্বিতীয় বিয়েতে কি মত দিয়েছিলেন ছেলে অর্থ? জানা গিয়েছে ছেলের ১০০ শতাংশ মত ছিল বাবার দ্বিতীয় বিয়েতে। রাজসী জানিয়েছেন, ছেলের বড় হয়ে ওঠার পিছনে আশিসের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। শুধু বাবা হিসেবেই নয়, একজন বন্ধু এবং পথপ্রদর্শক হিসেবে বরাবর ছেলের পাশেই ছিলেন আশিস। 

তবে বিচ্ছেদের পরেও রাজোশি আশিস দুজনেই দুজনের বন্ধুই রয়েছেন, এমনটাই দাবি অভিনেত্রী রাজোশির। তাঁর আরও দাবি, দাম্পত্যের বাইশটা বছর তাদের জীবনের সেরা সময়। আশিসও একই কথা বলবে দাবি রাজোশির। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 − five =