স্কুল খোলা নিয়ে অনিশ্চয়তা, কমল দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যক্রম

গত মার্চ মাস থেকেই লকডাউনের জেরে বন্ধ স্কুল কলেজের দরজা। অনলাইনে পড়াশোনা চালালেও পাহার প্রমাণ পাঠ্যক্রমের বোঝা সামলে উঠতে পারেননি শিক্ষক শিক্ষিকাদের একাংশ। পড়ুয়ারাও অনলাইন ব্যবস্থায় একাধিক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। সম্প্রতি উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ পাঠ্যক্রম কমাতে তাই স্কুল কলেজের মতামত জানতে চেয়েছিল। সেই মতোই দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যক্রম ৩০ শতাংশ কমানো হল অসম উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে।

 

অসম: গত মার্চ মাস থেকেই লকডাউনের জেরে বন্ধ স্কুল কলেজের দরজা। অনলাইনে পড়াশোনা চালালেও পাহার প্রমাণ পাঠ্যক্রমের বোঝা সামলে উঠতে পারেননি শিক্ষক শিক্ষিকাদের একাংশ। পড়ুয়ারাও অনলাইন ব্যবস্থায় একাধিক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। সম্প্রতি উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ পাঠ্যক্রম কমাতে তাই স্কুল কলেজের মতামত জানতে চেয়েছিল। সেই মতোই দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যক্রম ৩০ শতাংশ কমানো হল অসম উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে।

ক্লাসে যেভাবে পড়াশোনা করা যায়, অনলাইন মাধ্যমে ঠিক সেইভাবে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। এদিকে সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল কলেজ খোলার কথা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। যদিও এই নিয়ে এখনও কোনও নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। যদি তা না হয়, তাহলে আপাতত অনলাইন মাধ্যমই একমাত্র ভরসা। এদিকে স্কুল কলেজ খুলে গেলেও কতটা সময় পাওয়া যাবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ। তাই সংসদের তরফে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল পাঠ্যক্রম কমানো নিয়ে। এই কারণে শিক্ষা বোর্ডের তরফে মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা একটি কমিটি গঠন করেছিলেন। বিজ্ঞান, কলা ও বানিজ্য বিভাগের কোন কোন বিষয় পাঠ্যক্রম থেকে আপাতত বাদ দেওয়া যায়, সেই নিয়ে আলোচনা করে এই কমিটি। তারপর বিষয় বেছে অধ্যক্ষদের কাছে তাদের মতামত জানতে চাওয়া হয়। সেখানে একাধিক অধ্যক্ষ পাঠ্যক্রম কমানোর ব্যাপারেই রায় দিয়েছিলেন।

অসম শিক্ষা সংসদের সচিব মনোরঞ্জন কাকোতি জানিয়েছেন, তাঁরা অধ্যায় বা মৌলিক বিষয়গুলি সরাসরি বাদ দিতে চান না। সেক্ষেত্রে আগের পাঠ্যক্রমের রিভিশন বিষয় গুলিকেই বাদ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, অসমে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। তাই স্কুল কলেজ খোলা নিয়ে নতুন করে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। আনলক ৪ পর্বেও হয়ত স্কুল কলেজ খোলা হবে না, এমনটাই মনে করছেন শিক্ষা বোর্ডের একাংশ। তবে এখনও সংশোধিত পাঠ্যক্রম প্রকাশ করা হয়নি। আগামী মাসের মধ্যেই তা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে অসম শিক্ষা সংসদ। তবে, মেডিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং শাখার পাঠ্যক্রমের ক্ষেত্রে কোনও অদল বদল করা হয়নি। কারণ হিসাবে সংসদের এক কর্তা জানিয়েছেন, ওই বিভাগে পাঠ্যক্রম পরিবর্তন করলে সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষায় পড়ুয়ারা সমস্যার সম্মুখীন হবে। ফলে বিজ্ঞান শাখার পড়ুয়াদের মধ্যে যারা নিট বা জয়েন্ট দেবে, তাদের ক্ষেত্রে পাঠ্যক্রম অপরিবর্তিতই থাকছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 + 18 =