পাটনা: স্বপ্ন পূরণের লড়াইয়ে তিনি সফল৷ ইউপিএসসি পরীক্ষায় পাশ করার পরেই সেই আনন্দ ভাগ করে নিতে ছুটে গিয়েছিলেন তাঁর জীবন গড়ার কারিগরদের কাছে৷ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রের এই সাফল্যে স্বভাবতই গর্বিত স্কুলের শিক্ষকরাও৷ তাঁকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত ছিলেন তাঁরা৷ উপস্থিত হয়েছিলেন স্কুলের পড়ুয়ারাও৷ স্বল্পভাষী মেধাবী আশিস বরাবরই ছিল তাঁদের অহংকার৷ আরও একবার নিজের প্রকৃত শিক্ষার পরিচয় দিলেন তিনি৷
আরও পড়ুন- বাঙালি সায়নের সাফল্যে মুগ্ধ রতন টাটা, চিঠি লিখে প্রকাশ করলেন দেখা করার ইচ্ছা
বিহারের পূর্ণিয়ার বাসিন্দা আশিস এখন বহু আমলা৷ দেশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক হতে চলেছেন তিনি৷ তাঁকে স্বাগত জানাতে তাই কোনও খামতি রাখেননি শিক্ষকরাও৷ এদিকে স্কুলে পৌঁছেই সমস্ত শিক্ষকদের পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নেন আশিস৷ স্কুলের ছাত্রদের সঙ্গে ভাগ করে নেন তাঁর লড়াইয়ের কাহিনি৷ তাঁদের এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দেন তিনি৷ এরই মাঝে আরও একটি ঘটনা মন কেড়ে নেয় সকলের৷
এদিন আশিস যখন শিক্ষকদের প্রণাম করছিলেন, সেই সময় দূর থেকে তাঁকে অবার হয়ে দেখছিলেন একজন৷ এক সময় যে ছোট্ট ছেলেটাকে নিজের চোখের সামনে বড় হয়ে উঠতে দেখলেন, সেই ছেলেটা কিনা আজ একজন আইএএস৷ একটা যেন ঘোরের মধ্যে ছিলেন স্কুলের পরিচারিকা বাণী দেবী৷ আশিসও দূর থেকে লক্ষ্য করেছিলেন তাঁকে৷ এর পর আশিসের ডাকতেই যেন সম্বিৎ ফিরে পান বীণা দেবী৷ এর পর সকলকে একেবারে হতবাক করে তাঁর পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন আশিস৷ চোখ ভিজে যায় বাণীদেবীর৷ প্রথমে কিছুটা অপ্রস্তুতে পড়লেও পড়ে মন ভরে তাঁকে আশীর্বাদ করেন বাণীদেবী৷
বাণীদেবী বলেন, “আশিস আমাদের গর্ব। ছোটবেলা থেকেই ও পড়াশোনায় মেধাবী৷ বরাবরই স্কুলের একজন আদর্শ ছাত্র ছিল সে। আজ ও আইএএস অফিসার হয়েছে। ওর এই সাফল্যে আমি এবং পুরো স্কুল খুবই গর্বিত ও আনন্দিত।” এর পরই বীণা দেবী বলেন, ‘‘একজন আইএএস অফিসার এসে আমার পা ছুঁল, আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না৷’’