যেমন বলা তেমনি কাজ, প্রথম দফার ভোটে সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী!

যেমন বলা তেমনি কাজ, প্রথম দফার ভোটে সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী!

central forces

নিজস্ব প্রতিনিধি:   নজিরবিহীন নিরাপত্তার ঘেরাটোপে পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা ভোট হবে বলে বহু আগেই জানিয়ে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। বাংলায় ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করা হবে, যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। এমনটাই জানিয়েছিল কমিশন। তবে প্রথম দফার নির্বাচনে প্রত্যেকটি বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কিনা তা নিয়ে কিছুদিন আগে প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছিল। তবে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে বাংলায় প্রথম দফার নির্বাচনে, অর্থাৎ কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের প্রত্যেকটি বুথেই থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া পাহারা।

বুথে কোনও রাজ্য পুলিশ থাকবে না নির্বাচনের দিন। সেই সূত্রে ১০ এপ্রিলের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী বাংলায় এসে যাবে বলে খবর। স্পেশাল অবজার্ভার অলোক সিনহা ও স্পেশাল পুলিশ অবজার্ভার অনিল কুমার শর্মার উপস্থিতিতে শনিবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে যে দীর্ঘ বৈঠক হয় সেখানেই ঠিক হয়েছে প্রথম দফার নির্বাচনে প্রত্যেকটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। সূত্রের খবর পশ্চিমবঙ্গের প্রথম দফা নির্বাচনে অন্তত পক্ষে চারশ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করা হচ্ছে।

১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে ভোট পর্ব। এই প্রথম  নজিরবিহীনভাবে নির্বাচন ঘোষণার বহু আগেই বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে শুরু করে দেয়। এমন ঘটনা অতীতে কোনও দিন দেখা যায়নি। এতেই স্পষ্ট পশ্চিমবঙ্গকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। উল্লেখ্য গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বেনজির সন্ত্রাস হয়েছে জেলায় জেলায়। মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের বেশি রাজনৈতিক কর্মীর। মূলত সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে বিরোধীরা যে দাবি জানিয়েছিল তার ভিত্তিতে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করানোর পরিকল্পনা করে কমিশন।

নির্বাচন ঘোষণার বহু আগে থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ‘এরিয়া ডমিনেশন’ করতে নেমে পড়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই এতে নির্বাচনের দিনগুলিতে সন্ত্রাসের পরিবেশ থেকে মুক্ত হওয়া যাবে বলে সাধারণ মানুষ মনে করছেন। কমিশন চায় ভোটাররা ভয়শূন্য মনে দলে দলে এসে ভোটদান করুন। সেই বার্তা বারবার দেওয়া হচ্ছে কমিশনের তরফে। এই পরিস্থিতিতে শনিবার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসলেন বিশেষ পর্যবেক্ষক ও বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক। আর সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়েছে যে সমস্ত বুথে  থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া প্রহরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − ten =