কলকাতা: আসছে পুজো৷ এখন থেকেই তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে কলকাতার বড় বড় পুজো কমিটিগুলি৷ আর শহরের নামীদামি পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বহু রাজনৈতিক নেতার নাম। একসময় সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের একডালিয়া এভারগ্রিনের পুজো দেখার জন্য গড়িয়াহাটে পড়ল লম্বা লাইন। আবার প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ঘোষের পুজো বললে এখনও লোকে বুঝে নেয় কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের দুর্গাপুজো। তাঁরা কেউই আর বেঁচে নেই৷ কিন্তু, এখনও তাঁদের নামেই পুজোর আয়োজন করে থাকেন উদ্যোক্তারা। তবে এক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রম পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ তিনি জীবিত থাকলেও, জেলযাত্রার পর তাঁকে সুকৌশলেই ছেঁটে ফেলল নাকতলা উদয়ন সংঘ৷
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত বছর জুলাই মাসে গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এর কয়েকদিনের মধ্যেই মন্ত্রিসভা থেকে ছেঁটে ফেলা হয় তাঁকে। দলের মহাসচিব পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়৷ মন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার পর পুজো নিয়ে অনেকের মনে ধন্দ তৈরি হয়েছিল৷ সেই সময় নাকতলা উদয়ন সংঘের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতিতে পুজোর জৌলুসে ভাটা পড়বে না। তেমনটা তাঁরা হতেও দেয়নি। গত বছর জাঁকজমকপূর্ণই ছিল নাকতলার পুজো। তবে এবার তাঁকে একেবারেই ছেঁটে ফেলল পুজো কমিটি। সোমবার ধুমধাম করে নাকতলা উদয়ন সংঘের খুঁটিপুজো হয়ে গেল। সেখানেই পার্থর বদলে ক্লাবের মুখ্য উপদেষ্টা হিসাবে ঘোষণা করা হল টালিগঞ্জ কেন্দ্রের বিধায়ক তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের নাম।
তবে শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট। তাই খুঁটিপুজোয় উপস্থিত থাকতে পারেননি অরূপ৷ এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, তাঁর এলাকার সব পুজোর সঙ্গেই তিনি যুক্ত। সুরুচি সংঘের পুজোর পুরো দায়িত্বই তাঁর৷ তবে কোনও পোর্টফোলিও তাঁর নেই। তবে নাকতলার পুজোয় তাঁকে সেভাবে দেখা যায়নি। এবার পাকাপাকি ক্লাবের দায়িত্ব নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে কার্যত সাইডলাইনে পৌঁছে দিলেন তিনি।
সোমবার খুঁটিপুজোয় অরূপ আসতে না পারলেও, উপস্থিত ছিলেন পুজো কমিটির সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস, অভিনেতা সৌরভ সাহা, অভিনেত্রী মৌবনী সরকার, গায়ক সমীধ মুখোপাধ্যায়, চিত্র পরিচালক অনির্বাণ চক্রবর্তী-সহ বিশিষ্টরা।