একের পর এক গ্রেফতার। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার গ্রেফতার করা হল প্রভাশালী কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে। এবার পরবর্তী কে? উঠছে সেই প্রশ্নও। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে কাজ করা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের গ্রেফতার তাই যথেষ্ট তাত্পর্য্যপূর্ণ। এরপরই প্রশ্ন উঠছে পরবর্তী কে। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে টানা ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাঁর কথায় অসংগতি ধরা পরে বলে ইডি সূত্রের খবর। অর্থাত্, ১২ ঘণ্টা ধরে সুজয়কৃষ্ণ লড়ে গিয়েছেন ইডির বিরুদ্ধে। যা কম কথা নয়। এখনও পর্যন্ত নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত যে দিকে এগোচ্ছে তাতে জেরার বা জিজ্ঞাসাবাদের গুরুত্ব অনেকটাই-
• নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গোপাল দলপতি, তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষদের জেরা করে উঠে আসে কালীঘাটের কাকুর নাম
• অভিযোগ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তোলা টাকার একটা বড় অংশ কাকুর কাছে যেত
সুতরাং, একইভাবে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও সামনে আসতে পারে প্রভাবশালীদের নাম যারা নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে যুক্ত। বিষয়টিকে এক হাত নিয়েই ট্যুইটও করে ফেলেছেন শুভেন্দু অধিকারী, যেখানে তিনি নামের তালিকা দিয়ে ফলাও করে বলছেন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রে ও তার অধীনে থাকা কর্মীদের কথাও।
ট্যুইটের ছবি দিতে হবে
এখন প্রশ্ন উঠছে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নির্দিষ্ট ভাবে কোন ব্যক্তি কালীঘাটের কাকুর নাম নিলেন। সূত্রে খবর-
• ধৃত তাপস মণ্ডল প্রথম কালীঘাটের কাকু নাম উচ্চারণ করেন
• বেসরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ সংগঠনের নেতা তাপস মণ্ডল
• নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত তদন্তে নাম আসে গোপাল দলপতির নাম
• সেই গোপাল দলপতির মুখেও শোনা গেছে কালীঘাটের কাকু-র নাম
সেই জিজ্ঞাসাবাদের ফল হল তদন্তের আতশকাঁচে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের চলে আসা। তাঁকে দুইবার তলব করে সিবিআই। প্রথমবার সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরে আইনজীবীকে দিয়ে নথিপত্র পাঠায়। গত ২০ মে সুজয়ের বেহালার বাড়ি তল্লাশি চালায় ইডি। সুজয় সম্পর্কে আপাতাত যা জানা যাচ্ছে-
• একসময়ে অভিষেকের অফিসে কাজ করতেন
• কাকুর সঙ্গে সংযোগ তিন সংস্থার
• সেই সংস্থাগুলির মাধ্যমেই কালো টাকা সাদা করার খবর
এবার ইডির জালে সেই অতি পরিচিত কালীঘাটের কাকু। যাঁকে বার বার গ্রেফতারের চেষ্টা করা হলেও বাধা এসেছে।এখন দেখার, কালীঘাটের কাকুকে জেরা করে কী তথ্য পায় ইডি।