arbul
কলকাতা: সন্দেশখালি কাণ্ডের পর ৩৪ দিন কেটে গেলেও তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে কেন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না তা নিয়ে বহুদিন ধরেই প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। পুলিশ উদ্দেশ্যপ্রণোণিত ভাবে তাঁকে খুঁজছে না বলে অভিযোগ। আর শাহজাহানকে নিয়ে যখন নানা চর্চা চলছে ঠিক তখনই সবাইকে অবাক করে পুলিশ গ্রেফতার করল ভাঙড়ের প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলামকে।
ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বার্তাই দিলেন যে, তাঁর প্রশাসন রাজনৈতিক রং দেখে কাজ করে না। কারণ এর আগেও আরাবুলকে গ্রেফতার করেছিল তৃণমূল প্রশাসন। পরে তিনি আদালত থেকে জামিন পান। এমনকী একাধিক গুরুতর অভিযোগ আরাবুলের বিরুদ্ধে ওঠায় তাঁকে দল থেকে বেশ কিছুদিনের জন্য সাসপেন্ডও করা হয়েছিল। এবার আরাবুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্বে এক আইএসএফ কর্মীকে খুনের অভিযোগে। এর মাধ্যমে আইএসএফ তথা বিরোধীদেরও রাজ্য প্রশাসন বিশেষ বার্তা দিল বলে মনে করা হচ্ছে। বিরোধীদের এতদিনের দাবি তৃণমূল করলে দোষীরা ছাড় পেয়ে যায়। যথারীতি সেই অভিযোগের বিরোধিতা করে থাকে নবান্ন তথা রাজ্য প্রশাসন। তাই আরাবুলকে গ্রেফতারের মাধ্যমে বিরোধীদের যোগ্য জবাব তৃণমূল দিল বলেই মনে করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক মহল মনে করে এই পদক্ষেপের মাধ্যমে লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যবাসীকে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনা চক্রে বৃহস্পতিবারই রাজ্য বাজেটে রীতিমতো কল্পতরুর ভূমিকায় দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভাতা বৃদ্ধি করেছেন তিনি। নতুন করে ভাতার ঘোষণাও করা হয়েছে বাজেটে। সেই জায়গা থেকে মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন রাজনৈতিক রং দেখে প্রশাসন পদক্ষেপ করে এমন অভিযোগ যেন না থাকে। এতে তাঁদের সমস্যা বাড়বে বলেই তিনি মনে করেন। এমনিতেই একগুচ্ছ দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ তৃণমূল নেতাদের একাংশ। বিভিন্ন দুর্নীতির ঘটনায় তদন্ত করছে সিবিআই এবং ইডি। যা ধারাবাহিকভাবে তৃণমূলকে অস্বস্তিতে ফেলছে। সেই জায়গা থেকে আরাবুল ইসলামের গ্রেফতারি তৃণমূলের মাস্টারস্ট্রোক বলেই মনে করা হচ্ছে। এতে সরকারের স্বচ্ছতা নিয়ে নিঃসন্দেহে জোরালো বার্তা দেওয়া গেল।