বোলপুর: ক্রমেই উর্ধ্বমুখী করোনার গ্রাফ৷ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ৷ এই অবস্থায় রাজ্যজুড়ে ফের আংশিক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে৷ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়৷ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ প্রসঙ্গে বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল৷
আরও পড়ুন-বন্ধ হচ্ছে না ভোট! করোনা আবহেই নির্বাচনের সিদ্ধান্ত
রবিবার বোলপুরের তৃণমূল জেলা কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন অনুব্রত৷ সেখানে কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ প্রসঙ্গে মুখ খোলেন তিনি। অনুব্রত বলেন, “রাজ্যকে সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে গেলে এটা করতেই হত। কিছুই করার নেই। বাচ্চা ছেলেদের কোভিড হয়ে গেলে মুশকিল। তবে এতে শিক্ষা ফিক্ষা সমস্ত কিছু ডকে উঠে যাবে। বাড়িতে বসে পড়াশোনা হয় না। স্কুলে যে জিনিসটা হয়, সেটা কি আর বাড়িতে বসে হয়?”
প্রসঙ্গত, করোনার দাপটে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে বন্ধ হয়ে যায় রাজ্যের স্কুল-কলেজ৷ গত ফেব্রুয়ারি মাসে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হলেও দ্বিতীয় ঢেউের ধাক্কায় তা বন্ধ হয়ে যায়৷ এর পর গত ১৬ নভেম্বর ফের নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির অফলাইন ক্লাস শুরু হয়৷ কিন্তু খুদেরা স্কুলমুখো হতে পারেনি৷ অনলাইনেই তাঁদের ক্লাস চলছে৷ এই পরিস্থিতিতে নবান্নের নয়া নির্দেশিকায় ফের তালা ঝুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অনুব্রত মণ্ডলের মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই পাল্টা আক্রমণের পথে নেমেছে বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, উনি সত্যি কথা বলে ফেলেছেন৷ তৃণমূল নেতাদের একাংশ পরিস্থিতি সামাল দিয়ে বলেন, গ্রামাঞ্চলে পড়ুয়ারা ঠিক মতো অনলাইন ক্লাসের সুযোগ পায় তাদের কথা বলতে গিয়েই এহেন মন্তব্য করেছেন অনুব্রত মণ্ডল।