কলকাতা: একটি বিশেষ পদবীর ব্যক্তিদের ‘৮০ বছরের আগে বুদ্ধি হয় না’, এই মন্তব্যে কুরুচিপুর্ণ কি না তা বিচারের জন্য আদালত উপযুক্ত স্থান নয়৷ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নির্দেশে আপাতত স্বস্তি পেলেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল৷
একটি বিশেষ পদবীকে উদ্দেশ্য করে নলহাটির জনসভায় মন্তব্য করেন অনুব্রত মণ্ডল৷ জনসভায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখতে ওই মন্তব্য করেন অনুব্রত৷ একটি বিশেষ পদবীর ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অনুব্রতর মন্তব্যের জেরে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষ অসম্মানিত হচ্ছেন বলে আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন সম্রাট ঘোষ নামে জনৈক ব্যক্তি৷ হাইকোর্ট মামলাটি জনস্বার্থ মামলা হতে পারে স্বীকার করে নিয়েও ন্নিম্ন আদালত বা থানায় অভিযোগ জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন৷
অন্যদিকে, বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল-সহ একাধিক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ‘ঠান্ডা মাথায় খুন’ করার অভিযোগ তুলল বিজেপি নেতৃত্ব৷ বীরভূমের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার নামে অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে গেরুয়া শিবিরের নেতারা৷ নিহতের পরিবারকে শাসকদলের পক্ষ থেকে হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলেও তোলা হয়েছে অভিযোগ৷ মঙ্গলবার বীরভূমের ইলামবাজারে বাপি আঁকুড়ে নামক এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়৷ এরপরই কমিশনে অভিযোগ জানাতে যান বিজেপির নেতারা৷
রাজ্যে গত বেশ কয়েকটি নির্বাচনে কমিশনের ‘নজরে’ ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল৷ সম্প্রতি অনুব্রত বলেন, যতই কেন্দ্রীয় বাহিনী আসুক, ব্যাট থাকবে তাঁরই হাতে৷ পিটিয়ে ছাতু করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি৷ এই মন্তব্যের পর অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয় নির্বাচন কমিশনে৷ ভোটকর্মী ঐক্যমঞ্চের তরফে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি পাঠিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে গৃহবন্দি করার দাবি জানানো হয়৷ পরে পাল্টা অনুব্রত জানান, ‘আমি চোর না ডাকাত, আমাকে ঘরবন্দি করবে?’’ এবার সরাসরি খুনের মতো গুরুতর অভিযোগ তুলল বিজেপি৷