কলকাতা: গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআই দফতরে হাজিরা এড়ালেন বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল৷ নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে যাচ্ছেন না তিনি৷ আজ নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল অনুব্রতকে৷ কিন্তু ভোটের কাজে ব্যস্ত রয়েছেন৷ তাই যেতে পারছেন না৷ জানিয়ে দিলেন কেষ্ট৷
আরও পড়ুন- বড় ঘটনা না হলেও বিক্ষিপ্ত অশান্তিই সাক্ষী সপ্তম দফার
আগামী বৃহস্পতিবার রাজ্যে অষ্টম তথা শেষ দফার ভোট৷ বীরভূমে ভোটের ৭২ ঘণ্টা আগে তলব করা হয় অনুব্রতকে৷ গরু পাচার কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রবিবারই সিবিআইএর-তরফে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল অনুব্রতকে৷ আজ বেলা ১১টার সময় হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁকে৷ কিন্তু নোটিশ পাওয়ার পরেই তিনি তাঁর আইনজীবী মারফত সিবিআই-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন৷ এর পরেই সিবিআই-কে মেল করে সময় চেয়ে নেন বীরভূম জেলা সভাপতি৷ তিনি জানান, আগামী ২৯ তারিখ শেষ দফায় ভোট রয়েছে বীরভূমে৷ নির্বাচনে ব্যস্ত থাকার কারণে তার পক্ষে আজকে যাওয়া সম্ভব নয়৷ পাশাপাশি কিডনির সমস্যায় ভুগছেন বলেও জানান তৃণমূল নেতা৷ তবে এটা জানা যায়নি যে তাঁরা এই ই-মেলের জবাবে সিবিআই অনুব্রতকে সময় দিয়েছেন কিনা৷ নাকি নতুন করে তাঁকে নোটিশ করা হবে তাঁকে৷
এর আগে বীরভূমের একাধিক ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হয়েছিল৷ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল এনামুল হক তথা এই ঘটনার অন্যতম পাণ্ডাকে৷ এর পরিপ্রেক্ষিতে অনুব্রত মণ্ডলকে ডেকে পাঠানো অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে৷ গরু পাচার কাণ্ডে তদন্ত করতে একাধিক সাক্ষীর বয়ান সংগ্রহ করা হয়েছে৷ যেখানে বারবার অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর এক সঙ্গীর নাম উঠে এসেছে৷ সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের হাতে এমন কিছু তথ্য-প্রমাণ রয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত জড়িত ছিলেন৷ এই তথ্য প্রমাণ ও সাক্ষীদের বয়ান নেওয়ার পরেই অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর এক সঙ্গী দু’জনকেই তলব করা হয়৷
আরও পড়ুন- ‘সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে গিয়েছি’, শেষ নির্বাচনী প্রচারে আত্মবিশ্বাসী জেপি নাড্ডা!
এদিকে গতকালই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রতিবারই ভোটের সময় কেষ্টকে নজরবন্দি করে রাখা হয়৷ বেরতে দেওয়া হয় না৷ ২৯ তারিখ ওর ওখানে ভোট৷ আর ২৭ তারিখ সিবিআই অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছে৷ কেন যাবে? অনুব্রত একটা দলের সভাপতি৷ তাঁর বাড়িতেও চলে যাচ্ছে৷ যেন ও কোনও কাজ করবে তিনি বলেন , ‘‘আমি বলে দিয়েছি একদম যাবি না৷ সাফ বলে দিবি নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হলে তার পর যাব৷ আমাকে কাজ করতে দিন৷ ’’