হাতিদের রক্ষায় গঠন করা হবে অ্যান্টি ইলেক্ট্রোকশন সেল, সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের

হাতিদের জীবন রক্ষায় গঠন করা হবে অ্যান্টি ইলেক্ট্রোকশন সেল।

কলকাতা: হাতিদের সুরক্ষার জন্য এবার পদক্ষেপ নিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। জানা গেছে, হাতিদের জীবন রক্ষায় গঠন করা হবে অ্যান্টি ইলেক্ট্রোকশন সেল। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানা গেছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে ফরেস্ট এবং বিদ্যুৎ আধিকারিকদের মধ্যে বৈঠকের পর এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

হাতিদের রক্ষায় গঠিত এই সেলে বন দপ্তর, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা লিমিটেড, জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ ও স্থানীয় পঞ্চায়েতের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যেসব জায়গায় অবৈধভাবে বৈদ্যুতিন বেড়া স্থাপন করা হয়, সেগুলি প্রতিরোধ করবে এই সেল। একই সঙ্গে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনের মাধ্যমে হাতিদের রক্ষায় নিযুক্ত থাকবে তারা। একই সঙ্গে এই বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, জঙ্গলের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় যেখানে হাই টেনশন লাইনগুলি রয়েছে, সেগুলি ভেঙে দেওয়া হবে। চিফ ওয়াইল্ডলাইফ ওয়ার্ডেন ভি কে যাদব জানাচ্ছেন, বন বিভাগ সব জায়গায় নজরদারি চালাবে এবং বে-আইনি বিদ্যুতের বেড়া দেখলে তা উচ্ছেদ করা হবে। এইভাবে বেআইনি বেড়ায় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে ভবিষ্যতে যেন আর কোনও হাতি মরতে না পারে তার দিকে নজর রাখা হবে। নির্দিষ্ট এলাকার গুলিতে নজরদারি ছাড়ানোর জন্য হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের ব্যবস্থা করা হবে যাতে সবার সঙ্গে সবার যোগাযোগ আরো দ্রুত করা যায়। 

আসলে, ফসল বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে হাতিদের নিধন করার প্রবণতা রয়েছে চাষিদের মধ্যে। কোথাও ফলের মধ্যে বোমা রেখে, কোথাও বৈদ্যুতিন বেড়া দিয়ে হাতে নিধন করা হয়। কিছু মাস আগে কেরলের মালাপ্পুরামের ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছিল দেশে। সেখানে ফলের মধ্যে বোম রাখা হয়েছিল, যা একটি হাতি মুখে দিতেই ফেটে যায়। পরবর্তী সময় পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ার হাতি নিধনে ঘটনা ঘটেছিল। যদিও সেটা ফল বোমায় নয়, এই বৈদ্যুতিন বেড়ায়। একাধিক জায়গায় অবৈধভাবে বৈদ্যুতিন বেড়া নির্মাণ করা হয়, বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে অনেক হাতি মারা যায়। তথ্য সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত পাঁচ বছরে উত্তরবঙ্গে কমপক্ষে ২৫ টি হাতি এইভাবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছে অবৈধ বৈদ্যুতিন বেড়ার জন্য। সেই কারণেই এখন সেল গঠন করে হাতিদের সুরক্ষায় পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *