অবশেষে সরকারি সাহায্য নিতে তৈরি শীতলকুচিতে নিহত BJP কর্মী আনন্দ বর্মনের পরিবার

অবশেষে সরকারি সাহায্য নিতে তৈরি শীতলকুচিতে নিহত BJP কর্মী আনন্দ বর্মনের পরিবার

 

কলকাতা:  রাজ্যে চতুর্থ দফা ভোটের দিন শীতলকুচিতে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল বিজেপি কর্মী আনন্দ বর্মনের৷  শুক্রবার তৃণমূলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতীম রায়ের পাশে বসে  নিহত আনন্দ বর্মনের দাদা গোবিন্দ বর্মন জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল যে আর্থিক ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছেন তা নিতে প্রস্তুত তাঁরা৷ সরকারের দেওয়া চাকরির প্রস্তাবও আনন্দের পরিবার নিতে ইচ্ছুক বলে জানানো হয়েছে৷ 

আরও পড়ুন- রাজভবনে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বৈঠক রাজ্যপালের সঙ্গে

যদিও আনন্দ বর্মনের মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের তরফে বলা হয়েছিল, কোনও রকম সরকারি সাহায্য তাঁরা নেবেন না৷ ছেলের মৃত্যুর জন্য প্রকারন্তরে তৃণমূলকেই দোষী ঠাউরেছিলেন তাঁরা। গত ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফা ভোটের দিন দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল প্রথম বার ভোট দিতে যাওয়া বিজেপি কর্মী আনন্দ বর্মনের৷ এদিন পার্থ প্রতীম রায় বলেন, ভোটের দিন দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হন আনন্দ বর্মন৷ পাশাপাশি সিআইএসএফ-এর গুলিতে মৃত্যু হয় আরও চার জনের৷ শীতলকুচি কাণ্ডে এই পাঁচটি পরিবারেরই পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পাঁচটি পরিবারকেই একটি করে চাকরি ও আর্থিক সহযোগিতা করা হবে৷

আরও পড়ুন- শীতলকুচি কাণ্ডে IO-র পর মাথাভাঙার IC-কে তলব CID-র

পার্থ প্রতীম আরও বলেন, আনন্দ বর্মনের পরিবারের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছিলাম৷ এর আগে তাঁর দাদু এবং মামা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন৷ তাঁরা মূলত দুটি দাবি রেখেছিলেন৷ একটি হল পরিবারের চাকরি এবং দ্বিতীয় হল দোষীদের শাস্তি৷ এদিন পার্থপ্রতীমের পাশেই বসে থাকতে দেখা যায় আনন্দ বর্মনের মা ও দাদাকে৷ ছিলেন মামা জগদীশ রায়ও৷ তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তাঁরা তাঁদের মত পরিবর্তন করেছে৷   আনন্দের দাদা বলেন, গতকালই মুখ্যমন্ত্রী সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছিলেন৷ এর পর আমাদের বাড়িতেও লোক যায়৷ আজ আমরা এখানে এসেছি৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *