নয়াদিল্লি: করোনা গ্রাসে কেন্দ্রিয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দু'সপ্তাহ আগেই ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। শনিবার রাতে ফের করোনা পরবর্তী চিকিৎসার জন্যে ভর্তি হলেন দিল্লির এইমস হাসপাতালে। গত ২ আগস্ট তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে গুরুগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। শনিবার রাত ১১ টা নাগাদ অমিত শাহকে ফের ভর্তি করা হল হাসপাতালে।
উপসর্গ দেখা দেওয়াতে সঙ্গে সঙ্গে করোনা পরীক্ষা করিয়েছিলেন শাহ। রিপোর্ট পজিটিভ আসলেও শরীরে তেমন কোনও অসুবিধা ছিল না বলেই জানিয়েছিলেন। কিন্তু তবুও চিকিৎসকদের পরামর্শে গুরুগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। তিনি তারপর বলেছিলেন, গত কয়েকদিনে যে যে ব্যক্তি তাঁ সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁদের করোনা পরীক্ষা করাতে। পাশপাশি তাঁদের হোম আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময় গুজব ছড়িয়েছিল, তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গত ১৪ আগস্ট অমিত শাহ'কে হাসপাতাল তরফে ছুটি দেওয়া হয়। সুস্থ হয়ে ফিরে আসেন তিনি। এরপর তিনি হোম আইসোলেশনেই থাকবেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু এর ঠিক ৩ দিন পর ফের তাঁকে এইমস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এলেও তিনি ক্লান্তি বোশ করছিলেন। ফলে করোনা পরবর্তী চিকিৎসার জন্যে আবারও যেতে হয়েছিল হাসপাতালে। টানা ১৫ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। এরপর গত ৩১ আগস্ট তাঁকে ছুটি দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জানানো হয় ফের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে এবং তিনি সুস্থ রয়েছেন।
৩১ আগস্ট হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে পরদিন নিজের বাড়ি থেকেই ভার্চুয়ালি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার বৈঠকে যোগদান করেছিলেন। কিন্তু গতকাল রাত ১১টা নাগাদ ফের তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। কিছু শারীরিক সমস্যা ফের দেখা দিয়েছে অমিত শাহের। এদিকে আগামী কাল থেকেই সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হতে চলেছে। জানানো হয়েছিল এবারের অধিবেশনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন না। তবুও জল্পনা চলছিল যদি কোনও ভাবে উপস্থিত থাকেন, তাহলে কর্মসূচী জানাতে পারবেন তিনি। কিন্তু শনিবার ফের হাসপাতালে ভর্তির খবর সেই আশায় জল ঢেলে দিয়েছে। এবারের সংসদের বাদল অধিবেশনে থাকতে পারছেন না অমিত শাহ, একথা বলাই বাহুল্য।