কলকাতা: প্রকাশিত হল বহু প্রতীক্ষিত ভারতীয় জনতা পার্টির নির্বাচনী ইশতেহার। বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মত অনুযায়ী, “গত এক বছর ধরে গোটা বাংলার প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্র জুড়ে একটি গাড়ি নিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়ে সমীক্ষা করে তৈরি করা হয়েছে এই সংকল্পপত্র।” রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব ‘উনিশে হাফ আর একুশের সাফ’ স্লোগান দিয়ে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের ইশতেহার প্রকাশ করল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানালেন, “বাংলাকে আমরা সোনার বাংলা হিসেবে গড়ব। এটা আমাদের সংকল্প। তাই এই ঘোষণাপত্রকে আমরা ইশতেহার হিসেবে নাম না দিয়ে সংকল্প পত্র নাম দিয়েছি। সোনার বাংলা কোনও কাল্পনিক স্বপ্ন নয়। সোনার বাংলা আমাদের সংকল্প।” ভারতীয় জনতা পার্টির ইশতেহারে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে মহিলাদের সুবিধার দিকে।
ঠিক কী কী রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির নির্বাচনী ইশতেহারে?
• রাজ্য সরকারের সমস্ত চাকরিতে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ করা হবে।
• প্রতিটি থানায় তৈরি হবে মহিলাদের জন্য পৃথক হেলপ ডেস্ক। যার দায়িত্বে থাকবেন শুধুমাত্র মহিলারাই।
• ১৮ বছর হলেই মেয়েদের দেওয়া হবে এককালীন ২ লক্ষ টাকা।
• কেজি থেকে শুরু করে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে হবে।
• পরিবহনেও সম্পূর্ণ ছাড় পাবেন মহিলারা।
• শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়ে প্রথম মন্ত্রিসভাতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
• বাংলার প্রতিটি নাগরিকের জন্য ‘আয়ুষ্মান ভারত’-এর সুবিধা থাকবে।
• বাংলায় বিজেপি সরকার গড়লে দুর্গাপুজো, সরস্বতী পুজোর মত উৎসবের জন্য আদালতের অনুমতি লাগবে না।
• সারা রাজ্য জুড়ে পাওয়া যাবে ১ টাকায় স্যানিটারি ন্যাপকিন।
• মহিলাদের জন্য থাকবে সরকারের পক্ষ থেকে এককালীন ২০ হাজার টাকা করে ঋণের ব্যবস্থা।
• প্রধানমন্ত্রীর কিষান সম্মান নিধি প্রকল্প অনুসারে তিন বছরের কৃষকদের প্রাপ্য ১৮ হাজার টাকা সোজা তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
• তফশিলি জাতি-উপজাতি ও অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণী ও পরিবারে কন্যা সন্তান জন্মালেই মিলবে ৫০ হাজার টাকা।
• রাজ্যের রিজার্ভ পুলিশ বাহিনীতে তিনটি মহিলা ব্যাটেলিয়ান গড়ে তোলা হবে।
• রাজ্য পুলিশে তৈরি হবে ৯টি মহিলা ব্যাটেলিয়ান।
• বিধবাভাতা ১ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার টাকা করা হবে। প্রসূতিদের ৫ হাজারের জায়গায় ৯ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হবে।
• বাংলার প্রতিটি মৎস্যজীবীদের জন্য থাকবে বছরে ৬ হাজার টাকা করে সাহায্য।
• স্কুল-কলেজ, হাটে-বাজারে বসবে ৫০ হাজার স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন।