নয়াদিল্লি: পশ্চিমবঙ্গের প্রথম দফা নির্বাচনের দিনেই ফোনের অডিও রেকর্ডিং নিয়ে তোলপাড় হয়েছে বঙ্গ রাজনীতি। তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া তমলুকের নেতাকে ফোন করে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ফোনের অডিও ক্লিপিং ফাঁস করে এমনটাই দাবি করেছে গেরুয়া শিবির। এই বিস্ফোরক দাবির রেশ কাটতে না কাটতেই আবার শাসকদলের তরফ থেকে পাল্টা অডিও রেকর্ড ফাঁস করা হয়। মুকুল রায়ের সঙ্গে শিশির বাজোরিয়ার কথোপকথনের সেই অডিওতেও যথেষ্ট বিড়ম্বনায় পড়ে বিজেপি। অডিও আক্রমণের এই আবহেই এদিন মুখ খুলতে শোনা গেল ভারতীয় জনতা পার্টির শীর্ষ নেতা অমিত শাহকে।
পশ্চিমবঙ্গ এবং আসামের প্রথম দফার নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা গেরুয়া নেতা অমিত শাহ। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অডিও রেকর্ড সম্পর্কে প্রশ্নের মুখোমুখি হন তিনি। কটাক্ষের সুরে প্রশ্নের জবাব দিতে অবশ্য দেরি করেননি অমিত শাহ। তিনি বলেন, “এ ব্যাপারে আমার বিশেষ কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। সবারই নিজের সমর্থনে দল ভারী করার অধিকার আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেই চেষ্টাই করছেন। এতে আর বড় কথা কী?”
একদিকে যখন পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বের তরফে শাসকদলের বিরুদ্ধে দলীয় কর্মীদের খুনের অভিযোগ উঠছে, অন্যদিকে তখনই নিজের দল ছেড়ে যাওয়া নেতাদের ফোন করে সাহায্য চাইছেন স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো। এ কি পায়ের তলার মাটি সরে যাওয়ার আশঙ্কা? অমিত শাহ বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ের তলা থেকে জমি ইতিমধ্যে সরেই গিয়েছে। মানুষ সরিয়ে দিয়েছেন।”
উল্লেখ্য, গতকাল ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপিং নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। তমলুকের প্রাক্তন তৃণমূল নেতা প্রলয় পালকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করে ভোটের জন্য সাহায্য চেয়েছেন বলেই অভিযোগ করা হয়েছে। এই ফোন রেকর্ডিংটি নিয়ে এখন রীতিমতো সরগরম রাজ্য রাজনীতি।