নয়াদিল্লি: পশ্চিমবঙ্গের প্রথম দফার নির্বাচনে ৩০ আসনের মধ্যে ২৬টিতেই জয়লাভ করতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি, রবিবার সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের কাছে এমনটাই জানালেন বিজেপি নেতা তথা দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গতকালই সমাপ্ত হয়েছে বাংলার বহু প্রতিক্ষিত নির্বাচনের প্রথম দফা। তারপর আজ সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে ভোট সম্পর্কে নিজের ও দলের অভিমত ব্যক্ত করেন অমিত শাহ। তবে সেই সঙ্গে পরবর্তী দফার ভোট নিয়েও দিয়েছেন বার্তা।
আগামী ১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে হতে চলেছে ভোট গ্রহণ। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে এই কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়েছেন। সেই সঙ্গে তাঁর বিপরীতে গেরুয়া পতাকাতলে রয়েছেন একদা তাঁরই পুরোনো সৈনিক শুভেন্দু অধিকারী। এহেন হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নিয়ে এদিন তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য শোনা গেছে অমিত শাহের মুখ থেকে। তিনি বলেছেন, “বাংলায় পরিবর্তন আনার জন্য ২৯৪টি আসনের প্রয়োজন হবে না, যদি নন্দীগ্রাম একাই সেই দায়িত্ব নিয়ে নেয়।” অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর কেন্দ্র থেকে পরাজিত করতে পারলে বঙ্গ রাজনীতির সমীকরণ যে হয়ে যাবে অনেকটাই সরল, সেই ইঙ্গিতই দিয়েছেন গেরুয়া নেতা।
অমিত শাহ এদিন বলেন, “নন্দীগ্রামের ভোট দাতাদের কাছে আমার অনুরোধ, পরিবর্তন আপনাদের হাতেই রয়েছে। আপনারা একাই সেটা করে দিন। বাংলায় নিজে থেকেই পরিবর্তন চলে আসবে।” উল্লেখ্য, নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে এবার বিজেপিকে উড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এই এলাকার ঘটনাপ্রবাহকে হাতিয়ার করেই ২০১১ সালে নীল বাড়ির মসনদ দখল করেছিলেন তিনি। কিন্তু এবার ভোটের আগে উল্টে গেছে রাজনৈতিক সমীকরণ। তৃণমূলের দীর্ঘদিনের নেতা শুভেন্দু অধিকারী, শিশির অধিকারীসহ প্রভাবশালী গোটা অধিকারী পরিবারই নাম লিখিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। ফলে এই কেন্দ্র কে শেষ হাসি হাসে, তার দিকে চোখ রয়েছে বাংলা তথা গোটা দেশের।