‘মমতা সরকার গেলে আর ডেঙ্গু ম্যালেরিয়া হবে না’, জঙ্গলমহলে দাবি অমিত শাহের

তৃণমূল নেত্রীকে এই দুই রোগের বন্ধু বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি

বাঘমুন্ডি: জমে উঠেছে নীল বাড়ি দখলের লড়াই। রাজ্যে প্রথম দফা নির্বাচনের বাকি আর মাত্র দু-দিন। জেলায় জেলায় রাজনৈতিক দলগুলির শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিও তাই তুঙ্গে। বাংলা দখলের আশায় প্রায় প্রতিদিনই রাজ্যে আসছেন নরেন্দ্র মোদী অমিত শাহরা। সেই আবহেই এবার জঙ্গলমহল থেকেও তৃণমূল উৎখাতের ডাক দিলেন গেরুয়া নেতৃত্ব।

ভোটের আগে শাসক-বিরোধী নানাবিধ রাজনৈতিক তরজার  মাঝে এদিনের আক্রমণটা ছিল খানিক ভিন্ন ধাঁচের। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডিতে দলীয় জনসভায় প্রচারকার্যে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতা অমিত শাহ। রাজ্যে ডেঙ্গু আর ম্যালেরিয়ার বন্ধু হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাই তাঁকে গদি থেকে সরাতে পারলেই এই দুই রোগ বিদায় নেবে, এদিন প্রচারে এসে এমনটাই মন্তব্য করেছেন অমিত শাহ। মাইক হাতে নিয়ে তাঁর সাফ কথা, “বাংলা থেকে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া তখনই যাবে, যখন দিদি যাবে। উনি ডেঙ্গু ম্যালেরিয়ার বন্ধু।”

পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি থেকে এদিন শাসকদলের বিরোধিতার পাশাপাশি সোনার বাংলা গড়ার ঢালাও প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন অমিত শাহ। তিনি বলেছেন, দিল্লির মতোই জঙ্গলমহলে বিজেপি সরকার তৈরি করবে এইমস হাসপাতাল। গেরুয়া শাসনে উন্নয়নের বন্যায় জঙ্গলমহলের রূপটাই যাবে বদলে। ২ মে তৃণমূল শাসনের অবসানের ডাক দিয়ে তাঁর বক্তব্য, “স্ক্যাম চাইলে দিদিকে ভোট দিন, আর যদি স্কিম চান, তাহলে নরেন্দ্র মোদীকে ভোট দিন।”

বিজেপির এবারের নির্বাচনী ইস্তেহারটি এমনিতেই রয়েছে চমকে ঠাসা। নানা ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়নের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে গেরুয়া ইস্তেহারে। সেই সুরেই সুর মিলিয়ে এদিন সভা মঞ্চ থেকে অমিত শাহ জানান, পৃথক বোর্ড গঠন করে জঙ্গলমহলের উন্নয়ন সাধন করা হবে। প্রতি কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেওয়া হবে ১৮০০০ টাকা। নরেন্দ্র মোদীর সরকার যে দেশের ৬০ কোটি মানুষকে স্বাস্থ্য বিমার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, এদিন সেকথাও জানান অমিত শাহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven − six =