কেন বেহাল দেশে অর্থনীতি? দিশাহীন কেন্দ্রকে বিঁধলেন অমিত মিত্র

দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার কমায় কেন্দ্রকে একহাত নিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। মহামারীতে দেশের উৎপাদন কমবে তা খুব স্বাভাবিক। কিন্তু অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার সবচেয়ে কম। এর পিছনে কেন্দ্রের দিশাহীনতাকেই বিঁধলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী।

 

কলকাতা: দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার কমায় কেন্দ্রকে একহাত নিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। মহামারীতে দেশের উৎপাদন কমবে তা খুব স্বাভাবিক। কিন্তু অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার সবচেয়ে কম। এর পিছনে কেন্দ্রের দিশাহীন নীতিকে বিঁধলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, সংক্রমণের প্রথম দিকে কেন্দ্র ২০ লক্ষ টাকার আর্থিক প্যাকেজ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল। কিন্তু বাস্তবে লাভ কিছুই হয়নি। অর্থনীতির হাল ফেরাতে কেন্দ্র কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে দাবি করেন অমিত মিত্র।

কয়েকদিন আগেই অমিত মিত্র কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। সীতারমন জানিয়েছিলে জিএসটি ঘাটতির দায় কেন্দ্র নেবে না। সেক্ষেত্রে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের থেকে ঋণ নিতে হবে রাজ্যগুলিকেই। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, জিএসটি আইন অনুসারে এই ঘাটতি মেটানোর দায় একমাত্র কেন্দ্রেরই, সেক্ষেত্রে রাজ্যগুলিকে ঋণ নিতে হলে রাজ্যের কোষাগারে টান পড়বে। কিন্তু সীতারমন এ কথা না মেনে 'ভগবানের দোহাই' দিয়েছিলেন। এর জবাবে পাল্টা অমিত মিত্র বলেছিলেন, তাহলে সেক্ষেত্রে জিএসটিকে চালু করাটা ঈশ্বরের লীলা ছিল ধরে নিতে হয়। তিনি আরও বলেছিলেন, কেন্দ্র সরকার দেশের অর্থব্যবস্থাকে ভেঙে দিয়েছেন, এখন সেই দোষ দিচ্ছেন ভগবানকে।

মন্ত্রী অমিত মিত্রের পাশাপাশি দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার কমা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন। তিনি বলেছেন, সরকার ও আমলাদের বর্তমানে অর্থবহ পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। লিঙ্কড ইন অ্যাপে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করে এই মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর কথায়, মহামারী কাটিয়ে উঠতে গেলে অনেক বেশি ওয়াকিবহাল হওয়া প্রয়োজন কেন্দ্রের। কিন্তু প্রাথমিক কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার পর সরকার এই ব্যাপারটিকে এড়িয়ে চলছেন। তিনি বলেন, দেশের সাম্প্রতিকতম অর্থব্যবস্থা নিয়ে প্রত্যেকের চিন্তিত হওয়াটাই বাঞ্ছ্যনীয়। এ বছর ভারতের জিডিপির ২৩.৯ শতাংশ সংকোচন হয়েছে। পাশাপাশি অসংগঠিত ক্ষেত্রকে এই আওতায় নিয়ে আসলে পরিসংখ্যানের ফলাফল আরও খারাপ দাঁড়াবে। এদিকে দেশের অর্থনীতির অনেকটাই নির্ভর করে ক্ষুদ্র ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের ওপরেই। সবশেষে রাজন বলেন, ভবিষ্যতের রসদ বাঁচিয়ে রাখতে সরকার বর্তমানে এই ব্যাপারে এগিয়ে আসছে না। কিন্তু এখনই ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে সমূহ বিপদ সৃষ্টি হতে পারে। তাই সরকারের এখনই বেশি করে আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করা উচিত।- ফাইল ছবি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen + seven =