কাজের চাপে বোতলে প্রস্রাবের খবর স্বীকার আমাজনের

কাজের চাপে বোতলে প্রস্রাবের খবর স্বীকার আমাজনের

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: কাজের চাপে সময়ের অভাবে বোতলেই প্রস্রাব করতে হয় কর্মীদের! আমাজনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রথমে নস্যাৎ করলেও পরে নিজেদের ভুল স্বীকার করে নিয়েছে ই-কমার্স জায়ান্ট৷ মার্কিন কংগ্রেসের এক সদস্য টুইট করে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন আমাজনের বিরুদ্ধে। তারপরই শুরু হয় বিতর্ক৷ প্রাথমিক ভাবে আমাজন এই অভিযোগ উড়িয়ে দিলেও, বিতর্ক বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়। অবশেষে পিছু হটে আমাজন ক্ষমা চাইল এবং স্বীকার করে নিল, আমেরিকায় তাদের কোনও কোনও ড্রাইভারকে অবস্থা বিশেষে বোতলে প্রস্রাব করতে হয়।

সম্প্রতি আমাজনের এক প্রাক্তন কর্মী তথা ব্রিটিশ সাংবাদিক জেমস ব্লাডওয়ার্থ আমাজনের ওপর একটি বই লিখেছেন। সেখানে তিনি দাবি করেছেন, তাঁকেও আমাজনে থাকার সময় একাজ করতে হয়েছে। পরে টুইটারেও একই দাবি করেন তিনি। অথচ এই অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহান বলে উড়িয়ে দেন আমাজনের হেড এগজিকিউটিভ ডেভ ক্লার্ক। সেই সঙ্গে মনে করিয়ে দেন ই-কমার্সের এই সংস্থায় কাজের পরিবেশ অত্যন্ত প্রগতিশীল। এমনকি তাঁরা কর্মীদের প্রতি ঘণ্টায় ১৫ ডলার পারিশ্রমিক দেন বলেও জানান তিনি। এরপরই মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য মার্ক পোক্যান টুইটারে ক্লার্ককে কটাক্ষ করে লেখেন, ‘ঘণ্টায় ১৫ ডলার দেওয়ার মানে এই নয় যে আপনাদের কাজের পরিবেশ অত্যন্ত প্রগতিশীল।’ তিনি আরও লেখেন, যে সংস্থায় কাজের চাপে সময়ের অভাবে কর্মীদের বোতলে প্রস্রাব করতে হয়, সেখানকার কাজের পরিবেশকে ভালো বলাই যায় না৷

এর উত্তরে আমাজনের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে পোক্যানকে খোঁচা দিয়ে লেখা হয়, ‘সত্যিই বোতলে প্রস্রাব করার ব্যাপারটা আপনি বিশ্বাস করেন? যদি এমনটা হত তাহলে, কেউ আমাদের সঙ্গে কাজ করত না।’ যদিও আমাজনের এই ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হয়। সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেন সংস্থার বহু কর্মী। তাঁদের অভিযোগ, প্রকৃতির ডাক উপেক্ষা করা অসম্ভব৷ তাই উপায় না থাকায় অনেক সময়ই বোতলেই প্রস্রাব করতে হয়৷ শেষপর্যন্ত চাপের মুখে পিছু হটতে হয় আমাজনকেও।

 

একটি বিবৃতি পেশ করে মার্ক পোক্যানের কাছে ক্ষমা চেয়েছে তারা। সরাসরি অভিযোগের সত্যত্যা স্বীকার করে ই-কমার্স জায়ান্টের তরফে বলা হয়, ‘আমরা জানি আমাদের ড্রাইভারদের অনেক সময়ই এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়, যখন শৌচাগারই পাওয়া যায় না। বিশেষ করে কখনও ট্র্যাফিকে আটকে গেলে বা কোনও গ্রামীণ এলাকায় গেলে যেখানে শোচাগারই নেই। এমনকি কোভিডের সময় বহু শৌচাগার বন্ধ থাকায় এই সমস্যা বেড়ে গিয়েছিল।’ তবে এটা কেবল আমাজনের নয়, বরং এই ধরনের ইন্ডাস্ট্রির সমস্যা বলেও দাবি করেছে তারা। সেই সঙ্গে তারা জানিয়েছে, ‘আমরা এই সমস্যার সমাধান করতে চাই।’ এরপরই পোক্যানের জবাব,  ‘বিষয়টা আমার নয়, আপনাদের কর্মীদের সমস্যা। তাঁদের সম্মান ও মর্যাদার ব্যাপার৷ পোক্যান যে আমাজনের বক্তব্যে খুশি হননি, তা তাঁর জবাবেই স্পষ্ট৷ নিকিরাই থানার ইনস্পেক্টর কাবুলি বারিক জানিয়েছেন, কয়েকজন প্রতিবেশী এই কাণ্ড দেখে প্রতিবাদ করেছিলেন, কিন্তু বধূটির শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাতে পাত্তাও দেয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen + 19 =