অশোকনগর: শনিবার রাজ্য পঞ্চায়েত ভোটে বাংলা দেখেছে রক্তের হোলিখেলা৷ গুলি, বোমাবাজি, ভোট লুঠ, ছাপ্পায় দফায় দফায় অশান্ত হয়ে উঠেছে গ্রাম বাংলা৷ উত্তেজনা ছড়ায় উত্তর ২৪ পরগণার অশোকনগরেও৷ ভোটের দিন বোমা পড়েছিল দিঘরা মালিকবেরিয়া পঞ্চায়েতের সোলেমানপুরে ৭৩ নম্বর বুথে। ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগও উঠেছিল। সোমবার পুনর্নির্বাচনেও উত্তপ্ত হয়ে উঠল অশোকনগর৷ ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে কমিশনকে চিঠি লিখে ভোট বয়কটের দাবি জানাল আইএসএফ৷ তাদের বক্তব্য, এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে ভোটাররা প্রত্যেকে যাতে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা করলে তবেই তারা এই ভোটকে মান্যতা দেবেন।
আইএসএফ নেতৃত্বের অভিযোগ, তৃণমূলের দাপটে রবিবার সন্ধে থেকেই গ্রাম ছাড়া আইএসএফ প্রার্থী সহ প্রায় আড়াইশো সমর্থক। উত্তর ২৪ পরগণা জেলা সভাপতি তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, তৃণমূলকে এই বুথটা গিফট দিতে উঠে পড়ে লেগেছে পুলিশ। রবিবার সন্ধে থেকেই প্রার্থী সহ গ্রামের প্রায় আড়াইশো জন ঘরছাড়া। রাতভর গ্রামে তাণ্ডব চলেছে। বিষয়টির আঁচ পেয়ে আইএসএফ প্রার্থী এই কেন্দ্রে ভোট বন্ধ রাখার জন্য কমিশনকে ই-মেল পাঠিয়ে আর্জি জানিয়েছিলেন। কারণ, ভোটাররাই এলাকায় নেই। এখন ভোটের নামে ছাপ্পা চলছে৷
তাঁর আরও অভিযোগ, শনিবার সোলেমানপুরের ৭৩ নম্বর বুথ থেকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ওই ঘটনায় জড়িত আসল অপরাধীকে গ্রেফতার না করে পুলিশ আইএসএফের সাতজনকে তুলে নিয়ে যায়। এমনকি প্রার্থীর স্বামী সহ ৩৯ জনের নামে মামলাও রুজু করা হয়। ভোটে শাসকদল লাগামছাড়া সন্ত্রাস চালিয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর। তিনি বলেন, সেই কারণেই বহু মানুষ ঘরছাড়া। এই সুযোগে দেদার ছাপ্পা দিচ্ছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল৷ তাঁদের পাল্টা দাবি, পরাজয় নিশ্চিত বুঝেই মিথ্যে অভিযোগ করছে আইএসএফ।