করোনা কাঁটায় চিন্তার ভাঁজ স্কুলে! উঠল শিক্ষকদের টিকাকরণের দাবি

স্কুল গুলিতে করোনা সংক্রমণের উর্দ্ধমুখী গ্রাফ চিন্তা বাড়িয়েছে অভিভাবকদের

কলকাতা: দীর্ঘ ১১ মাস বন্ধ থাকার পর ফের খুলেছে রাজ্যের স্কুল। সমস্ত শ্রেণীতে না হলেও নবম দশম একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীতে শুরু হয়েছে পঠনপাঠন। কিন্তু শিক্ষা ব্যবস্থায় বহু প্রতিক্ষীত এই আংশিক স্বাভাবিকত্বেও ফের দেখা দিয়ে করোনার ছায়া। দেশ জুড়ে বাড়তে থাকা সংক্রমণের জেরে আবারও প্রশ্নের মুখে স্কুলগুলির ভবিষ্যৎ।

শুধুমাত্র ভোটের কাজে নিযুক্ত শিক্ষক শিক্ষিকা কিংবা শিক্ষা কর্মীরাই নন, করোনা ভ্যাকসিন নিতে হবে স্কুলে চাকুরিরত সমস্ত কর্মীকেই, সম্প্রতি এমনটাই দাবি উঠেছে পড়ুয়াদের অভিভাবকদের তরফ থেকে। দিন দিন যেভাবে রাজ্য জুড়ে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে চলেছে তাতে যারপরনাই উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য যাতে কোনোভাবেই ঝুঁকির মুখোমুখি না হয়, সে কারণেই এই দাবি তুলেছেন তাঁরা।

বস্তুত, রাজ্য জুড়ে ভোটের আবহে অনেক দিন আগেই শুরু হয়ে গেছে সরকারি শিক্ষক শিক্ষিকা তথা শিক্ষাকর্মীদের টিকাকরণ প্রক্রিয়া। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বিদ্যালয়ের সমস্ত কর্মীকেই টিকা নেওয়ার বাধ্যতামূলক নির্দেশিকা দেয়নি রাজ্য। করোনা আবহে চাকরি নিয়ে আতঙ্কিত শিক্ষক শিক্ষিকারাও। ধারাবাহিক স্কুলে যাতায়াতের কারণে তাঁদের মধ্যে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে অনেকটাই।পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নবকুমার কর্মকার শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনকে চিঠি দিয়ে স্কুলস্তরে সব প্রধান শিক্ষক, সহ শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীকে ভ্যাকসিন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, স্কুল চালু হওয়ার পরেই বিড়ম্বনা সৃষ্টি হয়েছে কসবা চিত্তরঞ্জন হাইস্কুলে। সেখানে এক শিক্ষিকার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর তড়িঘড়ি পঠনপাঠন ফের বন্ধ করে দিতে হয়। এরপর একে একে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেও খবর আসতে থাকে সংক্রমণের। এমতাবস্থায় শিক্ষক সমিতির তরফ থেকে অবিলম্বে সকলকেই ভ্যাকসিন দেওয়ার জোরালো দাবি তোলা হয়েছে। গত এক মাস ধরে বিভিন্ন স্কুলে দ্বাদশ শ্রেণীর প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস ছাড়াও চলছে পরীক্ষা। বোর্ড পরীক্ষার প্রস্তুতি হিসেবে আয়োজন করা হচ্ছে মক্কা টেস্টেরও। ফলে স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতির হার থাকছে ১০০ শতাংশ। পাশাপাশি বাড়ছে করোনা উদ্বেগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *