করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মমতার পাশে সুজন-মান্নানরা

করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে রাজ্যে। দমদমের প্রোঢ়ের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। করোনা নিয়ে যখন আতঙ্ক ছড়াচ্ছে, সেই পরিস্থিতিতে সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাম, কংগ্রেস, বিজেপি, তৃণমূলও। করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন প্রত্যেকেই।

কলকাতা: করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে রাজ্যে। দমদমের প্রোঢ়ের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। করোনা নিয়ে যখন আতঙ্ক ছড়াচ্ছে, সেই পরিস্থিতিতে সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাম, কংগ্রেস, বিজেপি, তৃণমূলও। করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন প্রত্যেকেই।

সিপিএম-এর তরফে উপস্থিত ছিলেন পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী এবং সূর্যকান্ত মিশ্র। দলের তরফে সুজনবাবু বলেন, 'এই পরিস্থিতিতে আমাদের থিম হওয়া উচিত, করোনার বিপদ থেকে ঠেকিয়ে কাউকে যেন খিদের জ্বালায় বিপদে পড়তে না হয়।' এছাড়াও একসঙ্গে মোকাবিলা করার কথা শোনা গেছে তাঁর কথায়। তিনি বলেন, 'এখন এই যুদ্ধে আমাদের সবাইকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিওক্যাল রিসার্চের গাইডলাইন অনুসারে রাজ্য সরকার যে নির্দেশ দেবে, সেই নির্দেশ অনুযায়ী আমরা সবাই একমনে চলব। এই শপথ নিয়ে আমাদের এগোতে হবে।' কংগ্রেসের তরফে আব্দুল মান্নান বলেন, 'পঞ্চায়েত বা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ রয়েছে। তাদের তরফে যদি সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়, সেটা এই পরিস্থিতিতে কাজে লাগতে পারে।' কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, এই রাজ্যে সেই পরীক্ষার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই।

তিনি বলেন, 'আমাদের কাছে মাত্র ৪০টা কিট রয়েছে।' এছাড়াও চিকিৎসার জন্য যে আগে চিকিৎসকদের দিতে হবে, সেই কথাও শোনা গেছে মুখ্যমন্ত্রীর জবাবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর ছড়ানোর ফলে আতঙ্ক বাড়ছে বলে আব্দুল মান্নান বলেন, 'করোনা নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলে দেখা যায়, সেখানে সবাই বড় বড় ডাক্তার। এখান থেকে অনেক গুজব ছড়াচ্ছে। সেগুলো বন্ধ হওয়া উচিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই পরামর্শ দিচ্ছেন, এটা করলে ভাল হবে, ওটা করলে ভাল হবে। কেউ আবার বলেন গোমূত্র খান। এরকম গুজব যাতে না রটে প্রশাসন যেন সেদিকে নজর রাখে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকরা যা বলছেন সেগুলোই মানা দরকার।'

এছাড়াও রিক্সাচালক বা শ্রমিক শ্রেণির মানুষের জন্য যদি আরও কিছু ব্যবস্থা করা যায় সেই কথাও বলেছেন তিনি। একই সঙ্গে হাত হাত মিলিয়ে কাজ করার কথা বলা হয় বিজেপি-র তরফেও। জেলায় জেলায়, মহকুমায় মহকুমায় সেফ হাউস গড়ার দাবি জানানো হয়েছে বিজেপি-র পক্ষে। দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো কাজ করলে শাস্তি দেওয়ার নিয়মও চালু করার প্রস্তাবও দেয় তারা। রাজনীতিগত মতভেদ ভুলে রাজ্য সরকারের উদ্যোগকে প্রশংসা করেছেন উপস্থিত সব বিরোধী দলনেতাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight − 7 =