টাইটানিকের মতোই পরিণতি টাইটানের, মৃত ৫ যাত্রী, মিলল ধ্বংসাবশেষের খোঁজ

টাইটানিকের মতোই পরিণতি টাইটানের, মৃত ৫ যাত্রী, মিলল ধ্বংসাবশেষের খোঁজ

কলকাতা: টাইটানিকের মতোই করুন পরিণতি হল টাইটানের৷ আশঙ্কা সত্যি করে সমুদ্রের অতলেই সমাহিত হল সাবমেরিন টাইটান। বিখ্যাত জাহাজ টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে আর ফেরা হল না সাবমেরিনের পাঁচ যাত্রীর। মার্কিন নৌসেনা সূত্রে খবর, জলে ডুব দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সাবমেরিনটি ভেঙে পড়ে। মৃত্যু হয়েছে সাবমেরিনে থাকা পাঁচজনের। মার্কিন সময় বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ খোঁজ মেলে সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষের।বিকেলে (আমেরিকার স্থানীয় সময়) মার্কিন উপকূলরক্ষী বাহিনী সাংবাদিক বৈঠক এই খবর নিশ্চিত করে।  প্রসঙ্গত, গত রবিবার থেকেই নিখোঁজ ছিল সাবমেরিন টাইটান। টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়া সাবমেরিনের  ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার হয় টাইটানিকের পাশ থেকেই। টাইটান-এর পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ওশানগেট’-এর তরফেও এই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। 

আমেরিকার উপকূলরক্ষা বাহিনীর রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মউগার বলেন, “টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ থেকে ১৬০০ ফুট দূরে ডুবোজাহাহ টাইটানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে রোবট। মনে করা হচ্ছে, দুর্ঘটনার সময় সাবমেরিনটি ভিতরের দিকে দুমড়েমুচড়ে গিয়েছিল। অভিযাত্রীদের এখনই উদ্ধার করা সম্ভব হবে কি না তা বলা কঠিন। কারণ, ঘটনাস্থলের পরিবেশ অত্যন্ত প্রতিকূল। মৃতদের পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা।” অভিযানকারী সংস্থাও দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে।

মৃতদের মধ্যে রয়েছেন পাক ধনকুবের শাহজাদা দাউদ ও তাঁর পুত্র সুলেমান, ব্রিটিশ ব্যবসায়ী হামিশ হার্ডিং ও পল-হেনরি নারগিওলে। এছাড়াও এই অভিযানের আয়োজক সংস্থা ওশানগেটের সিইও স্টকটন রাশেরও মৃত্যু হয়েছে টাইটান সাবমেরিনে। 

এই বিপর্যয়ের পর একাধিক প্রশ্ন উঠেছে৷ গত রবিবার পাঁচ অভিযাত্রীকে নিয়ে কানাডার পূর্বে নিউ ফাউন্ডল্যান্ডের উপকূলে জাহাজ থেকে অতলান্তিকের গভীরে ডুব দিয়েছিল টাইটান। টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখে সাত ঘণ্টার মধ্যেই জলের তলদেশ থেকে ফিরে আসার কথা ছিল সাবমেরিনটির। কিন্তু যাত্রা শুরুর ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় টাইটান৷ সাবমেরিনের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তৈরি হয় বিপর্যয়ের আশঙ্কা৷ এর পরেও প্রায় আট ঘণ্টা পরে উদ্ধারকাজ শুরু করে মার্কিন নৌবাহিনী। কেন এত দেরিতে উদ্ধারকাজ শুরু হল তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক৷  উপকূলরক্ষী এবং বিমানবাহিনীর সঙ্গে তল্লাশি শুরু করে রোবটও। সেই রোবটই অবশেষে টাইটানিকের কাছে খুঁজে পায় অন্য একটি যানের ধ্বংসাবশেষ৷ আমেরিকার উপকূলরক্ষা বাহিনী সেটিকে টাইটানের ধ্বংসাবশেষ বলেই চিহ্নিত করে৷